ফের ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ছে কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া রেলপথ প্রকল্পের
সাইদ রিপন : দ্বিতীয় দফা ব্যয় ও মেয়াদ বাড়তে কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া রেলপথ প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। প্রকল্পটি ১ হাজার ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে অক্টোবর ২০১০ থেকে জুন ২০১৩ সালে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদিত হয়। এরপর ২ হাজার ২৩ কোটি ৭২ লাখ টাকায় ডিসেম্বর ২০১৭ সালে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রকল্পটি প্রথম সংশোধন করা হয়। এ পর্যায়ে প্রকল্পের ব্যয় ২ হাজার ১১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ডিসেম্বর ২০১৮ সালে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই একনেকে অনুমোদনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। একনেকের আগামী সভায় প্রকল্পটি সংশোধনীর প্রস্তাবিটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এই রেললাইন পুনরায় চালু হলে বাংলাদেশ রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ রুটের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য বর্তমান পরিত্যক্ত কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া সেকশনটি চালু এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান ও সমাধিস্থল উপজেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এছাড়া ঢাকা-মাওয়া-জাজিরা-ভাঙ্গা পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় পর্যায় ভাঙ্গা হয়ে যশোর সংযোগ লাইনে যুক্ত হবে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ কমিশনের বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কালুখালি-ভাটিয়াপাড়া সেকশন পুর্নবাসন এবং কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। ফলে স্থানীয় ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারসহ আধুনিক ও নিরাপদে রেল চলাচল নিশ্চিত হবে।