হাইতির পর চাদেও অক্সফাম কর্মকর্তার যৌন কেলেঙ্কারি
আব্দুর রাজ্জাক: আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে আবারও যৌনকর্মীদের ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। হাইতিতে অক্সফামের আঞ্চলিক প্রধান রোলান্ড ভ্যান হোয়ারমেইরান সংস্থাটির অফিসে যৌনকর্মী নিয়ে প্রবেশের অভিযোগ ওঠার পর এবার আফ্রিকার দেশ চাদেও একই অভিযোগ উঠেছে। সর্বশেষ ওঠা অভিযোগে জানা যায়, চাদে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার সময় যৌনকর্মীদের সংস্থার অফিসে ভাড়া করে আনা হত। এ কারণে ২০০৬ সালে সেখানকার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার চাকরি চলে যায়। হাইতিতে যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত ছিলেন অক্সফাম কর্মকর্তা রোল্যান্ড ভ্যান হুওয়ারমেরিন। চাদের ঘটনার সময়ও তিনি সেখানকার প্রধান ছিলেন। তিনি ২০১১ সালে অক্সফামের চাকরি ছাড়েন। তার আগে হাইতিতে নিজের বাসায় যৌনকর্মীদের নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। আর চাদে সংস্থাটির সাবেক এক কর্মচারী ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য অবজারভারকে বলেন, ‘তারা পার্টি করার জন্য নারীদের আমন্ত্রণ জানাতেন। আমরা জানি, এসব নারী শুধু বন্ধু ছিল না, বরং অন্যকিছু ছিল।’ শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস তাদের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে অক্সফামের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হুওয়ারমেরিনের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রকাশ করে।
অক্সফামেরই একটি গোপন তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে খবরটি প্রকাশ করা হয়। রোল্যান্ড শুধু যে হাইতির ভূমিকম্পপীড়িত নারীদের যৌন কাজে ব্যবহার করেছেন তাই নয়, অভিযোগ রয়েছে তিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের দিয়েও একই কাজ করিয়েছেন।
টাইমসের খবরে অক্সফামের বিরুদ্ধে কর্মীদের এমন অপরাধের পরও দায়মুক্তি দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। এমনকি ওই কর্মকর্তা অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেওয়ার সময়ও তার সম্পর্কে এসব তথ্য গোপন করেছিল অক্সফাম। রোল্যান্ড ভ্যান হুওয়ারমেরিনকে ২০১১ সালে অক্সফাম থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। পরে তিনি বাংলাদেশে ‘অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার’র মিশন প্রধান হিসেবে যোগ দেন।
দ্য টাইমসের খবরে বলা হয়, অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গারের পক্ষ থেকে অক্সফামের কাছে হুওয়ারমেরিনের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হলেও সতর্ক করেনি তারা। যদিও একই সময়ে তার বিরুদ্ধে অক্সফাম নিজস্ব তদন্ত চালাচ্ছিল। পরে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে যান হুওয়ারমেরিন। ডেইলি মেইল