ডিভিশনে খালেদা জিয়া যেসব সুবিধা পাবেন
সুজন কৈরী : আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গত রোববার কারাগারে প্রথম শ্রেণীর ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীর মর্যাদা পেয়েছেন।
কারাগার সূত্র বলেছে, কারা বিধি অনুযায়ী দন্ডপ্রাপ্ত বন্দিকে প্রথম শ্রেণী হিসেবে ভর্তি করতে হবে। বন্দির আবাসনের জন্য সেল বরাদ্দ করতে হবে। সেখানে আছে ১টি চেয়ার, ১টি টেবিল, রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যবহারের জন্য একটি লাইট, খাবার জন্য মেলামাইনের বাসন, একটি আয়রন খাট, একটি তোশক, দুটি করে বালিশ ও বেডশিড, ৪টি বালিশের কভার, প্রয়োজন অনুযায়ী এক বা দুটি কভারসহ কম্বল, একটি মশারী এবং একটি ছোট হাত আয়না ও চিরুনী থাকবে। এই ডিভিশনের প্রত্যেক বন্দির একটি টুথব্রাশ, টুথপেষ্ট, সাবান, সেভিং ক্রীম, স্লিপারের ক্যাপ, প্রয়োজন হলে জায়নামাজ, তোয়ালে থাকবে। এছাড়া নিজ খরচে বন্দির স্বাভাবিক অভ্যাস ও কারাগারের আবাসনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হিসেবে সিনিয়র জেল সুপার বা সুপারের অনুমোদনে আসবাবপত্র, বিছানা, বাসন কোসন, চুলের তেল ও টয়লেটে ব্যবহারের সামগ্রী দিতে পারবে।
সূত্র জানায়, কারা বিধি অনুযায়ী আটক অবস্থায় যখন প্রথম শ্রেণীর বন্দির ভ্রমণের প্রয়োজন হয় তখন তাকে দ্বিতীয় শ্রেণীর বন্দি সুবিধা দিতে হবে। যদি উচ্চতর শ্রেণীতে ভ্রমণের ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে সে সুযোগ দেওয়া হবে। তবে অতিরিক্ত ব্যয় বন্দি বহন করবে। রাতে ট্রেনে ভ্রমণ করলে বন্দি সঙ্গে করে ব্যক্তিগত বিছানা ও কীট নিতে পারবেন। প্রথম শ্রেণীর দৈনিক ভাতা হবে মাথাপিছু ১০০টাকা। প্রত্যেক বন্দি তার ইচ্ছামত পোশাক পরতে পারবেন। যদি তা পর্যাপ্ত ব্যবহার উপযুক্ত এবং আপত্তিকর না হয়। কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে বন্দির নিজ খরচে সময়ে সময়ে অতিরিক্ত পোশাক নেওয়া যাবে। তবে রাজনৈতিক প্রতীকযুক্ত পোশাক পরিধান করা যাবে না। যদি কোনো বন্দি সরকারের খরচে পোশাক চান তাহলে তাকে সাজাপ্রাপ্ত বন্দির নির্ধারিত পোশাক ও সরঞ্জাম দেওয়া যাবে। বন্দিকে গোসল ও পোশাক পরিস্কারের জন্য সাবান দিতে হবে। তবে বন্দি নিজের কাপড় পরিস্কারে অভ্যস্ত না হলে বিনা খরচে পোশাক নিয়মিত পরিস্কারের জন্য সিনিয়র জেল সুপার বা সুপার ব্যবস্থা করবেন।
সূত্র জানায়, বিশেষ সুবিধা অনুযায়ী বই, ম্যাগাজিন ও পত্রিকা ছাড়াও নোটবুক এবং পেন্সিল বা কলম ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে প্রথম শ্রেণীর বন্দিকে। চিঠি লেখার কাজে কোনো পাতা ব্যবহার করা যাবেনা।
সূত্র জানায়, নির্ধারিত খাবার পাবেন। তবে সাধারণ নিষেধাজ্ঞা ও পরীক্ষাপূর্বক সিনিয়র সুপার বা সুপারের বিবেচনায় বন্দিরা নিজ খরচে একই ধরণের জিনিস গ্রহণ করতে পারবেন। তবে মেডিকেল অফিসারের আদেশে মদ বা যে কোনো ধরণের ওষুধ জাতীয় দ্রব্য নিজ খরচে সরবরাহ দেওয়া যাবে। বন্দির খরচে যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ সিগারেট এবং তামাকের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
সূত্র জানায়, কারাগারের ডে-কেয়ার সেন্টারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গতকাল কিছুটা বেলা করে ঘুম থেকে জেগে নাশতা করেছেন। পড়েছেন বই-পত্রিকা। তার সঙ্গে দেখা করার জন্য কেউ গতকাল কারা ফটকে যাননি।