বিএনপির কোন বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের কথা না বলাই ভালো
নিলোফার চৌধুরী মনি
খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের লোকেরাই নাম বিকৃতি করে বলে থাকেন গমরুল। তার দুর্নীতির ইতিহাস জানতে গেলে দেখা যাবে, তিনি দীর্ঘ ২ বছর ধরে মানুষের ভলো চাউলের পরিবর্তে খারাপ চাউল দিয়েছেন। যে চাউলে পোকা থাকে তাই সাধারণ জনগণকে খেতে দিচ্ছেন। এরপর যে চাউলের দাম কেজি চল্লিশ টাকা করে খাওয়াবেন বলেছিলেন, তা ৮০-৯০ টাকা করে জনগণের কাছে বিক্রি করেছেন। তিনি হচ্ছেন একজন দুর্নীতিবাজ। যে মিয়ানমার থেকে ১০ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের দেশে এসেছে। সেই মিয়ানমার থেকে খাদ্যমন্ত্রী কম দামের চাল আমদানি করে থাকেন। সুতরাং তার মুখে বিএনপি দুর্নীতির দল কথাটি মানায় না। যখন মোফাজ্জেল হোসেন মায়াকে ১৩ বছরের জেল দেওয়া হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর জেল হওয়ার পরে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছিল। তখন আদালতে তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। কোন মন্ত্রী দুর্নীতির দায়ে জেল হওয়ার পরে মন্ত্রীর মন্ত্রীত্ব থাকে না। সংসদ সদস্য পদ ও থাকে না। তখন তারা বলেছিলেন তাদেরকে ষড়যন্ত্রমূলক জেল দিয়েছে, এ জেল তারা মানে না। সেই সময়ে তাদের এ কথাগুলো মনে ছিল না। এখন তাদের মুখ দিয়ে এত বড় বড় ষড়যন্ত্রমূলক কথা মানায় না। সুতরাং আমাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার যে রায়টি হয়েছে, সেটি এদেশের জনগণ প্রত্যাক্ষাণ করেছেন। এ রায় আমাদের দেশের জনগণ মানে না। এ দেশের জনগণ সঠিক বিচার চায়। এখন আওয়ামী লীগও বিশ্বাস করছে, খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়ে বিএনপির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। কামরুল সাহেব নিজেই বলেছিলেন, আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি। বিএনপি কার নির্দেশে চলবে, কিভাবে চলবে, সেটি নির্ধারণ করবে বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির কোন বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের কথা না বলায় ভাল।
পরিচিতি : সাবেক সংসদ সদস্য/মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন/সম্পাদনা : গাজী খায়রুল আলম