ছয় মাসে ঋণ আমানত সংগ্রহে সুদ বেড়েছে ‘০৭ শতাংশ
জাফর আহমদ : ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে গ্রাহকদের কাছে থেকে আমানত সংগ্রহ করতে ব্যাংকগুলো গড়ে দশমিক শুণ্য ৭ শতাংশ সুদ হার বাড়িয়েছে। একই বছরের জুন মাসে ব্যাংকগুলো আমানত সংগ্রহ করেছে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ হারে। ডিসেম্বর মাসে সুদ হার বেড়ে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। একই সময়ে স্প্রেড হার (আমানত সংগ্রহ ও বিতরণের মধ্যে পার্থক্য) কিছুটা কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হাল নাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর স্প্রেড হার ছিল ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ সময়ে আমানতে সুদ হার ছিল ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। বিতরন করেছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ সুদ হারে। জুন মাসে স্প্রেড ছিল ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। সে সময়ে আমানত সংগ্রহ হয়েছে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ হারে। আর বিতরন হয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ হারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায় আমানত সংগ্রহে সব চেয়ে বেশি সুদ দেয় রাষ্ট্রায়ত্ব রাজশাহী কৃষি ব্যাংক, রেসকারি ফার্মাস ব্যাংক এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক। ব্যাংক তিনটির আমানতের সুদের হার যথাক্রমে ৮ দশমিক শুন্য ৪ শতাংশ, ৮ দশমিক ৪৬ এবং ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেথা যায় সব চেয়ে কম সুদে আমানত সংগ্রহ করে বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এব সর্বোচ্চ সুদে দিয়ে আমানত সংগ্রহ চতূর্থ প্রজন্মের দেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিদের্শনা অমান্য করে সর্বোচ্চ ঋণ স্প্রেড রাখে বিদেশি মালিকানাধীন স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক, উরি ব্যাংক এবং দেশীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর স্প্রেড হার যথাক্রমে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ, ৭ দশমিক শুন্য ১ শতাংশ এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ হারে। বাংলাদেশে ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে স্প্রেড হার কোন ভাবেই ৫ শতাংশের উপরে উঠানো যাবে না।