আদর্শ জাতি গঠনে নৈতিক শিক্ষা খুবই জরুরি : শিক্ষামন্ত্রী
তরিকুল ইসলাম সুমন : শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ আদর্শ মানুষ হিসেবে তৈরি করতে হবে। আদর্শ জাতি গঠনে নৈতিক শিক্ষা খুবই জরুরি বলে মনে করেন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞান সমাজের কম-আলোকিত মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রজ্ঞা ও মেধা যেন সাধারণ মানুষের প্রাণে সাহস জোগায়, কর্মক্ষেত্রে ও সমাজে সূচিত করে ইতিবাচক পরিবর্তন।
গতকাল ঢাকায় বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (বিআইইউ) -এর ১ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত ও তথ্য বিপ্লবের সুযোগ গ্রহণ করে যুগোপযোগী মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো তাদের ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি। যে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া তারা আর কোনো পথ খোলা নেই। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ব্যবসা ও মুনাফার চিন্তা ত্যাগ করে জনকল্যাণে, সেবার মনোভাব ও শিক্ষার জন্য অবদান রাখার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে তাদের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসহ সকল প্রকার ব্যয় একটি সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখতে উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করার জন্যও তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবর্তনে ২ হাজার ৯৫৮ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ৪ জন কৃতী গ্র্যাজুয়েটের মাঝে স্বর্ণপদক বিতরণ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
সমাবর্তনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, বিআইইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আব্দুল্লাহ জাফরী। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. সাদত হুসাইন। সম্পাদনা : এনামুল হক