বামপন্থীদের একটি অংশ স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল : আনিসুজ্জামান
রাজু আনোয়ার : ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত পথপরিক্রমায় আমাদের রাজনীতি বিভাজিত ছিল নানা ধারা-উপধারায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেটি আরও স্পষ্ট হয়। অবশ্য মুক্তিযুদ্ধকালে বামপন্থীদের একটি অংশ স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। একুশ থেকে একাত্তর- এই উত্তাল কালপর্বে বিভাজনের ঊর্ধ্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতাই প্রধান সত্য হয়ে দেখা দিয়েছে। গতকাল বিকালে বাংলা একাডেমির মূল মঞ্চে ‘একুশে ফেব্রুয়ারির লক্ষ্য কী, অর্জনের পথ কোন দিকে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এ সময় স্বাগত ভাষণে একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, একুশে শহিদের শোককে বাঙালি শক্তিতে পরিণত করেছে। ভাষা আন্দোলনের অমর চেতনার পথ ধরে আমরা এগিয়েছি স্বাধীনতার দিকে।
অমর একুশে বক্তৃতায় ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশের বাঙালি ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে গ্রহণ করেছে। এর ফলেই সর্বাত্মক ভাষাসংগ্রাম এবং পরিণতিতে বাংলা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। কিন্তু একুশের পথ বেয়ে একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে আত্মপ্রকাশ করলেও বাংলাকে আমরা জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ফকির সিরাজের পরিচালনায় ছিল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফকির আলমগীর, কল্যাণী ঘোষ, ফিরোজ আহমেদ, আবদুল হালিম খান।
এছাড়া গতকাল সকাল ৭টা থেকেই একুশের মূলমঞ্চে ছিল স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর।
এদিকে অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে আজ থেকে শুরু হচ্ছে দুদিনব্যাপী দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক সাহিত্য শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। সম্পাদনা : এনামুল হক