থ্রি-জির গল্প
কামরুল হাসান
‘গরিবের ঘোড়া রোগ’ বলে একটা কথা আছে। আমার সেই দশা। শখ হোল স্যামসং ফেলে আইফোন নেব, নিলামও। কিন্তু বাসায় এনে দেখি ফোন ঠিকমতো কাজ করে না। নেটও ধীর। গেলাম গ্রামীণ ফোন সেন্টারে। তারা জানালেন, ফোন ঠিক আছে সমস্যা নেটওয়ার্কে। ফিরে এসে প্রথম আলোর বিদেশ এডিশনের সম্পাদক সেলিম খানের দ্বারস্থ হলাম। তিনি যুক্ত করলেন অনলাইন মার্কেটিং ম্যানেজার স্টিভ জ্যাকভকে। শুরু হোল ফোন সমস্যা সমাধানের ব্যাপক তৎপরতা। কাজও হোল। একদিন সকালে গ্রামীণ ফোন থেকে এক যুবক এল, হাতে যন্ত্রপাতি নিয়ে। বাসার সব ঘর ঘুরে ফিরে বলল, এ বাসায় থ্রি-জির নেটওয়ার্কই নেই। সে চলে যাওয়ার পর এল আরেকজন। বলল, তারা থ্রি-জির ডিভাইস বসাবে এ বাসায়। এল আরেক যুবক-সে বাড়ির নকশা এঁকে নিয়ে চলে গেল।
কয়েকদিন পরে যন্ত্রপাতি হাতে একজন এল। বসানো হোল যন্ত্রপাতি। দু’দিন পর একজন এসে বলল, টাওয়ার কেবল লাইন টানতে এসেছে। টানা হোল। কাল আরেকজন এসে বলল, আমরা যন্ত্রপাতি বসাব, কনফিগার করবে অন্যজন। সেই অন্যজন কবে আসবেন সেটা তিনি জানেন না। যন্ত্রপাতি সব বসে গেছে, তিনি এলেই চালু হবে থ্রি-জি। ।
আমি রোজ ঘুম থেকে উঠে ঘরের ভেতরে লাগানো থ্রি-জির যন্ত্রপাতির দিকে তাকিয়ে থাকি। আর অপেক্ষা করি। আ হা আমার থ্রি-জি নেটওয়ার্ক!
পরিচিতি : নগর সম্পাদক, দৈনিক প্রথম আলো/ ফেসবুক থেকে