বিশ্ব সন্ত্রাসী অর্থায়নকারীদের তালিকায় পাকিস্তানের নাম ওঠার আশঙ্কা
ইমরুল শাহেদ : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পরিণতিতে আন্তর্জাতিক অর্থপাচার পর্যবেক্ষণ তালিকা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সে (এফএটিএফ) পাকিস্তানের নাম পুনরায় উঠতে পারে। ভারতীয় গণমাধ্যম ও একটি কূটনৈতিক সূত্র গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে। এমনটি হলে পাকিস্তানের ব্যাংকিং খাত এবং বিদেশি বিনিয়োগও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আফগানিস্তানে আইএসের অভিযান নিয়ে পাকিস্তানকে চাপে রাখার জন্য এটা হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের একটা বড় ধরনের কৌশল। ইয়ন টিভি
এদিকে দ্য হিন্দু এবং নিউজ এইটিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এফএটিএফে পাকিস্তানের তালিকাভুক্তির বিষয়ে মার্কিন উদ্যোগকে সহায়তা করেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি। ৩৬-১ ভোটে পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’য় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। এর আগেও ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান ৩ বছরের জন্য এই তালিকায় ছিল।
এফএটিএফভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একজন অ-ভারতীয় কূটনীতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, গ্রুপটি পুনরায় পাকিস্তানকে পর্যবেক্ষণ তালিকায় স্থান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে চীন, তুরস্ক এবং গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগকে থামিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে চীন এবং জিসিসি বিরোধিতা থেকে সরে যায় বলে জানিয়েছেন ওই কূটনীতিক। তিনি বলেছেন, জুন পর্যন্ত অর্থনৈতিক দিক থেকে পাকিস্তানের কোনো সমস্যা হবে না। এই সময়ের মধ্যে পাকিস্তান সন্ত্রাসী অর্থায়নের বিষয়টি গুছিয়ে আনতে পারবে।
তালিকায় পাকিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ওয়াশিংটন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এফএটিএফের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সন্ত্রাসী অর্থায়ন বিষয়ে পাকিস্তান সন্তোষজনক কাজ করছে না। চূড়ান্ত তালিকায় স্থান দেওয়ার আগে পাকিস্তানকে তিন মাস সময় দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। মঙ্গলবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ টুইট করে বলেছিলেন, পাকিস্তানকে তিন মাসের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এজন্য সহযোগিতাকারী বন্ধুদের কাছে তিনি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছিলেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই তালিকাভুক্তি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করছে। এর মধ্যে সন্ত্রাসী হাফিজ সাইদের বিষয়টিও ছিল। কিন্তু পাকিস্তান যথেষ্টভাবে হাফিজ সাইদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি বুঝাতে পারেনি।