উপকূলীয় জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে ১৯০০ কোটি টাকার প্রকল্প
তরিকুল ইসলাম সুমন : বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এক হাজার ৯’শ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিণ ফিসারিজ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৫ লাখ জেলের জীবন মান উন্নয়নসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ করবে সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ।
সৈয়দ আরিফ আজাদ এই প্রতিবেদককে জানান, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় টেকসই মৎস্য উন্নয়নের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ব্লু ইকোনমিকে কাজে লাগানোই এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় ৪০ টি উপজেলার জেলেদের বর্তমান জীবনমান থেকে অধিকতর উন্নত জীবন যাত্রা নিশ্চিত করা হবে।
এর ফলে তাদের দীর্থ দিনের দাদন ব্যবসা থেকে রক্ষা করা হবে। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছে মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ বিষেয় বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিরাও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ইলিশ মাছের উপর আমাদের স্বীকৃতি অর্জন হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে নদী অববাহিকার জেলেদের জীবন ও জীবিকা উন্নয়নেও আমরা আরো এক ধাপ অগ্রসর হতে পারবো।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। সরকারের নানা পদক্ষেপের ফলে আজ আমারা মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন সময় এসেছে যারা এ কাজের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত তাদের জন্য কিছু করার। এ জন্য আমারা বিশ্ব ব্যাংকের সতায়তায় প্রায় ২হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। ডিপিপি তৈরি কাজও চলছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদন পাব। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরো বলেন, জেলেদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য মৎস্য অধিদপ্তর ইতোমধ্যেই দেশের ১৬ লাখ ২০ হাজার জেলে বা মৎস্যজীবী নিবন্ধন কাজ শেষ করেছে। এদের মধ্য থেকে ১৪ লাখ ২০ হাজার জেলেকে পরিচয় পত্র দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এছাড়াও আমারা ইউএসএআইডি এর সহায়তায় ভোলা জেলার সদর উপজেলার সাসটেনেইবল লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (পাইলট) চলমান আছে। এর মাধ্যমে আদর্শ জেলে পল্লী করার জন্য কাজ করছি আমরা।