বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তিন সিটিতে যুক্ত হচ্ছে ১৫০ টি গাড়ী
শাকিল আহমেদ : বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ঢাকার দুই সিটি ও চট্রগ্রাম সিটি করপোরেশনে যুক্ত হচ্ছে ১৫০ গাড়ী। ইতোমধ্যে ৫৭ টি গাড়ী আনা হয়েছে যা এখন চট্রগ্রাম বন্দরে রয়েছে, বাকি ৯৩ টি শিবমেন্টের অপেক্ষয় রয়েছে যা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আসবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) বর্জ্য বিভাগ। ডিএসসিসি সূত্রে যানা যায়, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থার জন্য বাংলাদেশকে ১৫০ টি গাড়ী অনুদান দিয়েছে জাপান সরকার এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ৫৬ টি, উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) ৫৬ ও চট্রগ্রাম সিটি করপোরেশনে (সিসিসি) ৩৮ টি।
রাজধানীতে রাস্তার উপরে দক্ষিনে ৩৬০ এবং উত্তরে ৫২ টি অবর্জনার কন্টেইনার রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে দক্ষিনে ২৫০০ টন ও উত্তরে ২৭০০ টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। এর আগে ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ১১২ টি গাড়ী অনুদান দিয়েছিলো জাপান সরকার। যার মাধ্যমে ঢাকার দুই সিটির প্রায় ৬০ ভাগ বর্জ্য অপসারন করা হচ্ছে।
ডিএসসিসির সচিব মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বলেন, দক্ষিণ সিটির সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য লোকবল, যন্ত্রপাতি,পরিবহনসহ অনেক কিছুর দরকার রয়েছে তবে এই গাড়ী গুলো পেলে কিছুটা হলেও এ সমস্য সমাধান করা যাবে।
গাড়ী গুলোর মধ্যে রয়েছে, ডিএনসিসির জন্য ৪টি ছোট ও ৫টি বড় ডামট্রাক। ১০ টি ছোট ১৩টি বড় কম্পেক্টর। ৪টি চার চাকার হুইল ড্রাইভ ডামট্রাক।এছাড়া ২০টি কন্টেইনার কেরিয়ার। ডিএসসিসির জন্য ৩টি ছোট ও ৪টি বড় ডামট্রাক। ৮ টি ছোট ১৪ টি বড় কম্পেক্টর। ৩টি চার চাকার হুইল ড্রাইভ ডামট্রাক । ২৪ টি কন্টেইনার কেরিয়ার।
সিসিসির জন্য ৪টি ছোট ও ৪টি বড় ডামট্রাক। ৬টি ছোট ৭ টি বড় কম্পেক্টর। চার চাকার হুইল ড্রাইভ ডামট্রাক ৪টি ও ১৩ টি কন্টেইনার কেরিয়ার।
এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আ,হ,ম আব্দুল্লা হারুন বলেন, দক্ষিণ সিটিতে বর্জ্যে তুলনায় গাড়ীর সংখ্যা কম। একারনে বর্জ্য অপসারনে প্রায় বেগ পেতে হয়। আবার ঢাকনা না থাকায় অনেক সময় রাস্তায় যত্রতত্র ময়লা পড়ে থাকে এবং দূর্গন্ধ ছড়ায়। তাই গাড়ী গুলো পেলে বর্জ্য সগ্রহের হার বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবেশের ও উন্নয়ন হবে।
গত ৬ জুন ২০১৭ সালে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের (এলজিআরডি) অধিনে প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১শ ৬০ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাপান সরকারের ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ ও বাংলাদেশ সরকারের ৬৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ ও চট্রগাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কাজে নিয়োজিত সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও ওয়ার্কশপ। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত