ব্যবসা বাণিজ্য সহজ করতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে আমদানি নীতি
জাফর আহমদ : বিদেশ থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমান স্বর্ণ আসে। কিন্তু আমদানির খাতায় স্বর্ণের হিসাবে ফাঁকা। বাস্তবে দেশে বিপুল পরিমান স্বর্ণ বেচা-কেনা হয়। এরফলে দেশে প্রতিবছর বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মূলত আমদানি নীতির ত্রুটির কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগও প্রলম্বিত হচ্ছে পদ্ধতিগত নানা জটিলতার কারণে। এমন জটিলতায় ব্যহত হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য। এ সব বিষয় মাথায় রেখে আমদানি নীতি ২০১৮-২০২১ যুগোপোগি করছে সরকার। বাণিজ্যমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে ।
নতুন আমদানি নীতি প্রনীতি হওয়ার পর যাতে দেশি ও বিদেশী উদ্যোক্তারা সহজে ও দ্রুততম সময়ে মূলধনী যন্ত্রপাতিসহ প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা এনে ব্যবসা শুরু করতে পারে সে সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এবিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েল অতিরিক্ত সচিব প্রাণেশ রঞ্জন সূত্রধর বলেন, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ভাবে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। ব্যাপক হরে ব্যবসার সুযোগও তৈরি হয়েছে। বিদেশী বিনিয়োগও আসছে। এ অবস্থায় উদ্যোক্তারা যাতে সহজে ও দ্রুত সময়ে মূলধন নিয়ে ব্যবসায় আসতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারিদের জন্য মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানী আরও সহজ করা হবে। এছাড়াও রপ্তানী বাড়াতে সরকার রপ্তানী পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে জোর দিচ্ছে। ফলে আমদানী নীতিতে এ সংক্রান্ত পণ্য সহজে আসতে পারে তার জন্য আয়োজন থাকবে। নতুন নীতিতে তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে যুক্ত সব ধরনের পণ্য যাতে সহজে আনা যায় সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী বর্তমান আমদানী নীতির মেয়াদ আগামী জুনে শেষ হচ্ছে। এ অবস্থায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অন্যান্য সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ ( বেজা), রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ( বেপজা) , বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) , শিল্পমন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। নতুন আমদানী নীতি আদেশের জন্য এসব সংস্থাগুলো বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। এসব প্রস্তাবনা যাচাই-বাছায়ের কাজ চলছে। এছাড়াও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোরও মতামতও নেওয়া হচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে একটি খসড়া আমদানী নীতি তৈরি করে তা মতামতের জন্য প্রকাশ করা হবে। এর পরই খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রী পরিষদ সভায় উত্থাপন করা হবে।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে , পরিবেশ ও নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ আরোপ, বাণিজ্য আরও উদারীকরণ, ব্যবসার ব্যয় আরও কমানো এবং দেশীয় শিল্পকে নতুন নীতিতে সুরক্ষা দেওয়া হবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। প্রস্তাবিত আমদানি নীতিতে ব্যবসা বাণিজ্য সহজিকরণের পাশাপাশি কাস্টম আইন ও অন্যান্য আইনের সামঞ্জস্য বিধানও করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত