৫৬ শতাংশ কোটা থাকার কোন অর্থ হয় না!
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী
আমাদের দেশের সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে একটি বিশেষ প্রথা ব্যবস্থা চালু আছে, তাহলো কোটা প্রথা। এই কোটা প্রথার কারণে আমাদের দেশের ৫৬ শতাংশ লোকের চাকরি হয়, মেধার বিত্তিতে নয়। আর আমাদের দেশের ৪৪ শতাংশ লোকের চাকুরি হয় শুধু মেধার ভিত্তিতে। এটা একটি অন্যায় বলে আমার ধারনা এবং আমাদের দেশের মেধাবীদেরকে অবমূল্যায়ন করার মত ষড়যন্ত্র। সাথে সাথে মেধাশূন্য করার একটি ব্যবস্থা করা হয়েছে এর মাধ্যমে। দলীয় লোকদের যোগ্যতা থাক বা না থাক তাদেরকে প্রাধান্য দেয়ার কসরত এখানে বেশ দেখা যায়। এর মাধ্যমে আগামীতে মেধাশূন্য একটি জাতি তৈরীর একটি পায়তারা চলছে। একটি সংবাদ ইংরেজি করার জন্য আমাদের দেশে লোক ভাড়া করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তাহলে চিন্তা করা যায়, কি পরিমাণ মেধাশূন্যতা আমাদের দেশে বিরাজ করছে? আমাদের দেশের এই ধরণের পরিস্থিতির অবশ্যই পরিবর্তন দরকার। কিছু কোটা লাগবে, তা আমরা জানি।
কিন্তু তাই বলে গায়ক প্রথা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটা, নৃত্যশিল্পী কোটা, ইত্যাদি এই কোটা সেই কোটাতে ভরে গেছে। এই কোটাই আমাদের দেশটার বারো টা বাজিয়ে মেধাকে নিস্তেজ করে দিচ্ছে। ফলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যারা মেধাবী, তারা সরকারী চাকুরীতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ভর্তি পরিক্ষাতেও আমরা একই অবস্থা দেখছি। ফলে এই অবস্থার একটি পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরিভাবে দরকার, সেটা জাতীয়করণ করা যেতে পারে। সেখানে যদি ৫ বা ১০ শতাংশ কোটা প্রথা থাকে, তার একটি অর্থ থাকে কিন্তু সেখানে যদি ৫৬ শতাংশই কোটা থাকে, তাহলে তার কোন অর্থ থাকে না। এই অবস্থার অর্থ দাড়ায় আমরা সম্পূর্ণভাবে মেধাকে অস্বীকার করলাম। সুতরাং এ অবস্থার অবসান অত্যন্ত জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে।
পরিচিতি : সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট/মতামত গ্রহণ : শাখাওয়াত উল্লাহ/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ ॥