রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জন করেছে
মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক
রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করায় বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত কক্সবাজারের দুটি উপজেলা টেকনাফ ও উখিয়ার মারাতœক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সার্বিকভাবে কক্সবাজার জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আংশিক ভাবে চট্টগ্রাম জেলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমরা মোট দশ লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়েছি মানবিক কারণে। রোহিঙ্গাদের মানবিকতা প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিকভাবে খুবই সুনাম অর্জন করেছে। মানবিকতা প্রদর্শনের জন্য, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ এবং শ্রদ্ধা জানিয়েছে। কিন্তু আমাদের পাশের রাষ্ট্রগুলো আমাদের দেশে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাদের জন্য কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এবং মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে কোনভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। মোট ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা টেকনাফ ও উখিয়ায় বসবাস করে যাচ্ছে। এ বসবাসে আগামি দুই মাস পর থেকে বর্ষাকাল চলে আসবে। তখন তাদের অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন করতে হবে। সেই সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে মানুষের অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে। এছাড়া এখন পর্যন্ত তাদের খাবারের ব্যবস্থা এবং চিকিৎসাসহ সব খরচ আসছে বিদেশি অনুদান থেকে।
বিদেশি ত্রাণ তহবিল অনুদান থেকে তাদের ব্যবস্থা করছে। আংশিকভাবে বা কিছু পরিমান খরচ হচ্ছে আমাদের বাজেট থেকে খরচ করা হচ্ছে । দশ লক্ষ রোহিঙ্গাদের জন্য চিন্তা। তারচেয়ে বড় চিন্তার কারণ আমাদের দেশের পরিবেশের উপর প্রভাব। সেখানে গাছ পালা কেটে ফেলা হচ্ছে, পাহাড় কেটে ফেলা হচ্ছে। সেখানে সামাজিক সমস্যাটি বেশি সৃষ্টি হচ্ছে। আগে টেকনাফ উখিয়ায় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ইয়াবা বিজনেস করতেন। সেখানে এই রোহিঙ্গাদের আসার কারণে এ ইয়াবা বিজনেস বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সব দিক থেকে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গার প্রভাব পড়েছে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে । এ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য বড় বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্য হতে হবে। আমাদের পাশের প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোকে ভুমিকা রাখতে হবে।
পরিচিতি : চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি / মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ