বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন পুলিশ বনাম ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন পুলিশ
এ আর শামীম
তারিখ- ১০ই জানুয়ারী ২০১৮। বাংলাদেশে এক মাসের ছুটি কাটিয়ে স্ত্রী-পুত্র কে নিয়ে বিলেত ফেরত যাচ্ছি।
ঢাকা বিমান বন্দর ঢুকতেই আমাদের গাড়ী পুলিশ দমকিয়ে, বলা যায় একরকম জোর করেই ভাই বোনদেরকে
নামিয়ে দিলো। সুতরাং স্বজনদের আল্লাহ হাফেজ বলার সুযোগও পেলাম না।
দৃশ্য -১
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ক্রস করার সময়
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন পুলিশ: বাড়ী কোথায়?
আমি: কুমিল্লা
ই. পুলিশ: কুমিল্লা কোথায়?
আমি: বুড়িচং
ই. পুলিশ: বুড়িচং কোন গ্রাম?
আমি: গোবিন্দ পুর
ই. পুলিশ: আমার বাড়ী বুড়িচং খাড়াতাইয়া
আমি: অ.. আচ্ছা
ই. পুলিশ: আপনার ছেলের ব্রিটিশ পাসর্পোট। কিন্তু ঘড় ঠরংধ জবয়ঁরৎবফ(ঘঠজ) নেই কেন?
আমি: আমার ছেলে বাংলাদেশ নাগরিকও। এই যে তার বাংলাদেশী পাসর্পোট।
ই. পুলিশ: বাংলাদেশী পাসর্পোট থাকলেও বাচ্চার ঘঠজ লাগবে।
আমি: আমার ছেলে বাংলাদেশের নাগরিক এবং বাংলাদেশী পাসপোর্ট আছে। বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে তার ভিসা বা ঘঠজ লাগবে কেন? তাছাড়া বাংলাদেশে আসার সময় তো কোন ধরনের সমস্যা হয়নি।
তারপর এই ইমিগ্রেশন পুলিশ অফিসার আমাদেরকে অন্য আরেক পুলিশ অফিসারের কাছে হস্তান্তর করলো।
২য় ই. পুলিশ আমাদের ৩ জনের পাসর্পোটই
অনেকক্ষন সময় নিয়ে দেখলো। পরে ওনি ফোনে ওনার স্যারকে বিস্তারিত বলছেন। ওনি ফোনে বললেন: যাত্রী আমেরিকান সিটিজেন, ঘঠজ ছাড়াই বাংলাদেশ ভ্রমন করেছেন। (অথচ ওনি একটু আগেই অনেকক্ষন ধরে পাসর্পোট দেখলেন)
আমি বললাম: আমেরিকান না, ব্রিটিশ
আরো কিছুক্ষন পরে ওনারা আমাদেরকে নিয়ে গেলেন অঝচ অফিস কক্ষে।
ইতিমধ্যেই আমার ছেলে ক্লান্ত ঘুমিয়ে পরেছে।
একজন অফিসার ( সম্ভবত অঝচ) বললেন: আমরা আপনাদেরকে ছেড়ে দিলেও লন্ডনে এয়ার পোর্ট-এ আপনার ছেলেকে ঢুকতে দিবে না।
আমি বললাম: আমার ছেলের ব্রিটিশ পাসর্পোট, আর তাকে ইংল্যান্ড ঢুকতে দেবে না, তা হতেই পারে না।
যাই হোক অবশেষে ঘঠজ ফি বাবদ ৫১ ডলার আমাকে পে করতে বললো। আমিও সাথে সাথে রাজী হলাম কারণ আমাদের ফ্লাইট মিস যেতে পারে!
বললাম: আমার কাছে ক্যাশ নেই। বাট আমি কার্ডে ৫১ ডলার পে করে দিচ্ছি। আমাকে ঘঠজ করে রিসিপ্ট দিয়ে দিবেন, আমি লন্ডনে গিয়ে বাংলাদেশ হাই কমিশনে কন্টাক্ট করবো।
অফিসার: আপনাদের কাছে কোন ক্যাশ টাকা নেই? কিংবা বাহিরে আপনাদের কেউ নেই?
আমি: আমরা টক তে যাচ্ছি। ঝড় আমাদের বাংলা টাকা ওখানে নিয়ে যাওয়ার দরকার পরছে না ।
না, এয়ার পোর্টের বাহিরে কেউ নেই।সবাই চলে গেছেন।
অফিসার: আপনাদের কাছে পাউন্ড নেই?
আমি: না। আমরা কার্ডেই সবকিছু পে করি।
অবশেষে, উপায় না পেয়ে আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছেন।
তৎক্ষনাত ইমিরাৎস বিমান ছেড়ে দেওয়ার মতো অবস্তা । যখন বিমানে গিয়ে উঠি, লক্ষ্য করলাম আমরা ছাড়া সব যাত্রী বিমানে বসে আছেন।
দৃশ্য-২
====
অঃ খড়হফড়হ ঐবধঃযৎড়ি অরৎঢ়ড়ৎঃ:
ইৎরঃরংয ওসসরমৎধঃরড়হ চড়ষরপব ঙভভরপবৎ: গধফধস (ঞড় সু রিভব), ঈড়ঁষফ ও যধাব ুড়ঁৎ ভরহমবৎ ঢ়ৎরহঃ ঢ়ষবধংব?
গু রিভব: ঝঁৎব
ঙভভরপবৎ: ঐড়ি ষড়হম যধাব ুড়ঁ নববহ ধধিু?
গু রিভব: ১ সড়হঃয
ঙভভরপবৎ: (ঞড় ঁং) ডবষপড়সব নধপশ
ডব: ঞযধহশ ুড়ঁ.
(ঞযধঃ’ং ধষষ)
৫১ ডলার (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় চার হাজার টাকা) এর জন্য অথচ সহ আরো কয়েক জন অফিসারের এতো প্রচেষ্টার পরও ব্যর্থ হওয়ায় আমি অত্যন্ত দু:খিত।
পরিচিতি : যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশী/ ফেসবুক থেকে