জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৩২শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে : শিল্পমন্ত্রী
স্বপ্না চক্রবর্তী : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের শিল্পখাতে আশাতীত অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এর ফলে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৩২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ইতোমধ্যে দেশে প্রায় ১০ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে ওঠেছে। এসব এসএমই শিল্প ডিজিপিতে শতকরা ২৩ ভাগ এবং মোট শিল্প কর্মসংস্থানে শতকরা ৮০ ভাগ অবদান রাখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গতকাল সোমবার শিল্পমন্ত্রী নয়াদিল্লীর হোটেল তাজ প্যালেসে আয়োজিত ‘ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। দু’দিন ব্যাপী এশিয়ান টাইমস্ চতুর্থ গ্লোবাল বিজনেস সামিট-২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এবং ভারতের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তিনি বাংলাদেশে অর্জিত সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির উল্লেখ করে বলেন, গত তিন বছরে বাংলাদেশ ৭ শতাংশেরও বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। একই সাথে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এ দেশের তৈরি পোশাক শিল্প বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার পাশাপাশি চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ চতুর্থ, জনশক্তি রপ্তানিতে পঞ্চম এবং রেমিট্যান্স আহরণে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে রয়েছে। অন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সি প্রাইস ওয়াটার হাউজ কুপারস্ এর মতামত তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের তিনটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে একটিতে পরিণত হবে।
আমির হোসেন আমু বলেন, বিনিয়োগের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে উৎকৃষ্ট স্থান। এদেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বর্তমান সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের বিশেষ প্রণোদনা ও আর্থিক সুবিধা দেয়া হচ্ছে। তিনি এসব সুবিধা উপভোগ করে বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে ভারতীয় উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান। এশিয়ান টাইমস চতুর্থ গ্লোবাল বিজনেস সামিট দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত