৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেজারসহ ১৬৫টি নৌযান সংগ্রহের উদ্যোগ
তরিকুল ইসলাম সুমন : ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০টি ড্রেজার ও ১২৫ টি সহায়ক নৌ যান সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এবিষয়ে অনুমোদন পেতে নতুন করে একটি ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) প্রনয়ণ করতে একটি কমিটি কাজ করছে বলে সাংশ্লষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানান, ৪০টি ড্রেজারের মধ্যে ২টি ৩৬ ইঞ্চি কার্টার সাকসন ড্রেজার, ২টি ২৮ ইঞ্চি কার্টার সাকসন ড্রেজার, ২টি ২৬ ইঞ্চি কার্টার সাকসন ড্রেজার, ১২টি ২০ ইঞ্চি কার্টার সাকসন ড্রেজার, ১৫টি ১৮ ইঞ্চি কার্টার সাকসন ড্রেজার, ৩টি ১৬ ইঞ্চি কার্টার সাকসন ড্রেজার, ২টি ১২ ইঞ্চি কার্টার সাকসন ড্রেজার, ২টি হপার ড্রেজার। এগুলোর জন্য সহায়ক বোট হিসাবে ২৫টি ক্রেন বোট, ১৮টি টাগ বোট, ৩৫ হাউস বোট, অফিসারদের জন্য আরও ১৫ হাউস বোট, পাইপ পরিবহনের জন্য ২২টি বার্জ, ১০টি ডাম্প বার্জও কেনা হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়রম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক এই প্রতিবেদককে বলেন, ড্রেজিংয়ের মহা পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের ৭শ’ নদী পুনরুদ্ধরের পরিকল্পণা গ্রহণ করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএ এবং স্থানীয় সরকার এ কাজ করবে। এর ক্ষেত্রে প্রায় ১৭০টি নদীর দায়িত্ব রয়েছে বিআইডব্লিউটিএর কাছে। এগুলো সচল করার জন্য প্রায় ২শটি ড্রেজার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এখন আমাদের হাতে রয়েছে মাত্র ১৯টি ড্রেজার। এ গুলোর মধ্যে ১৯৭২ সালে ২টি, ১৯৭৫ সালে ৫টি, ২০১১ সালে ৩টি, ২০১৪ সালে ৮টি, ২০১৬ সালে ৩টি এবং ২০১৭ সালে ২টি জলে ও স্থলে চলাচলের উপযোগী ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। এসময়ে ১০টি করে ২০ টি ড্রেজার সংগ্রহের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এগুলো ২০১৯ সালে হাতে পাওয়া যেতে পারে।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান আরও বলেন, নদীর গতিপথ ফেরাতে নতুন করে আরো ড্রেজার সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য একটি কমিটি কাজ করছে। এগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য উপাত্য ও কাগজপত্র তৈরিতে আরো প্রায় এক বছর সময় লাগবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নদনদীর নাব্যতা সংরক্ষণ বিষয়ক টাস্কফোর্সের তথ্যানুযায়ী, বন্যার সময় বাংলাদেশের ছোট বড় ৪শ নদ-নদী দিয়ে বছরে ৫০ লাখ কিউসেক পানি এবং ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ২৪০ কোটি টন পলি পরিবাহিত হয়।