অভিজিৎ হত্যায় শিগগিরই চার্জশিট দেওয়া হবে : মনিরুল ইসলাম
তিনি বলেন, মামলাটি শুরু থেকেই ডিবি তদন্ত করেছে। তিন মাস আগে সিটিটিসি তদন্তের দায়িত্ব পায়। পরে তিনজনকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি। এর আগে র্যাব সাতজনকে গ্রেফতার করেছিল। তবে এ হত্যাকা-ের সঙ্গে এখন পর্যন্ত তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। এছাড়া মুকুল রানা নামের একজন গ্রেফতারকালে ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। সিটিটিসির হাতে গ্রেফতার হওয়া তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আমাদের তদন্ত ও তাদের জবানবন্দির ভিত্তিতে আমরা জানতে পেরেছি অভিজিৎ হত্যার সময় ঘটনাস্থলে জিয়া উপস্থিত ছিল। দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে মোট ৯ জন এই হত্যাকা-ে অংশ নেয়। এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত জিয়াসহ ৫ জন এখনও পলাতক আছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের ধরতে না পারলেও বলা যায়- আমরা মামলার তদন্ত শেষ করে এনেছি। আমরা আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি এই মামলার চার্জশিট দাখিল করতে পারবো।
তিনি জানান, সে সহ পলাতক আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা গেলে মামলাটির সফল তদন্ত সমাপ্ত করতে পারবো। গ্রেফতার করা না গেলেও এখনও পর্যন্ত তদন্তে যেটা পেয়েছি, তাতেও আমরা এই মামলার বিচারকার্য চালানোর মতো সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে।
মেজর জিয়ার অবস্থান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি প্রধান বলেন, মেজর জিয়া দেশে না বিদেশে আছে, এ মুহূর্তে বিষয়টি আমাদের জানা নেই। কয়েক মাস আগেও তার অবস্থান আমরা দেশের ভেতরে পেয়েছি। আমাদের ধারণা সে দেশে থাকলেও বর্তমানে নিষ্ক্রিয় রয়েছে। যদি সে সক্রিয় থাকতো আমাদের বিস্তৃত গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তার অবস্থান জানতে পারতাম। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিজিৎকে খুন করার পেছনে কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ ছিলো না। মূলত তার লেখালেখির কারণেই সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিজিৎকে খুন করা হয়। যেহেতু অভিজিৎ বিদেশে ছিলেন তাই তিনি কবে দেশে আসবেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং করে এবং তাদের ইন্টেলিজেন্স উইং থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সার্ভিলেন্স উইং তাকে খুনের পরিকল্পনা করে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথেঅভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এই হামলায় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও গুরুতর আহত হন। সম্পাদনা: তরিকুল ইসলাম সুমন