‘মিয়ানমারেও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত আন্তর্জাতিক মহলের’
মারুফ হাসান নাসিম : রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে, যা যা করা দরকার সরকার তার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। তারপরেও প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে আরও দৃঢ়ভাবে চেষ্টা করতে হবে। আন্তর্জাতিক মহলের অনেকেই এসেছেন। তাদের সমবেদনা ও আক্ষেপের কথা আমরা শুনছি। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে দৃঢ়ভাবে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। তাদের উচিত উত্তর কোরিয়ার উপর যেমনিভাবে বাণ্যিজিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, রেমিটেন্স পাঠানো বন্ধ করেছে, ঠিক তেমনি ভাবেই মিয়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া। কিন্তু তারা তা করছে না। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আলাপকালে সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির আমাদের অর্থনীতিকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা অভিবাসিদের দেখতে ভিয়েতনাম প্রেসিডেন্ট এসেছেন, তিনজন নোবেল বিজয়ী মহিলা এসেছেন, সুইজারলেন্ডের প্রেসিডেন্ট এসেছেনসহ অনেকেই এসেছেন ও আসছেন। তাদের কাছে আমরা সমবেদনার কথা শুনছি, আক্ষেপের কথা শুনছি। কিন্তু রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তাদেরকে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিতে দেখছি না। তবে ইউরোপিয় ইউনিয়ন এক্ষেত্রে স্বতস্ফুর্ত ভুমিকা পালন করছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একশ’ সংসদ সদস্য বলেছেন যে, মিয়ানমারের যা ঘটছে তা গর্হিত কর্মকান্ড এবং গণহত্যার ন্যায় ঘটছে, অতিসত্ত্বর বিচার প্রক্রিয়া চালু করার চিন্তা করবো আমরা। এখন চিন্তার প্রশ্ন আসছে কেনো, এখন তো চিন্তার সময় নেই। এখন সমস্যা সমাধানের বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করা দরকার।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বহি:বিশ্বে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীও বিদেশে গিয়ে এ ব্যাপারে চেষ্টা করছেন। কিন্তু এখন সরকারের উচিত জাতিসংঘসহ যেসব মানবাধিকার সংগঠন ও দেশগুলো রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান করছে তাদের সাথে কথা বলা। তারা যেন বাংলাদেশে অবস্থিত মিয়ানমারের কুটনৈতিকদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেতে চাপ সৃষ্টি করে। তারা গিয়ে দেখুক তাদের জনগণ কী অবস্থায় আছে। তাদের দেশ থেকে দশ লক্ষ জনগণ এসেছে কিন্তু তারা একবারও সেখানে যায়নি। রোহিঙ্গারা কী অবস্থায় আছে, তারা দেখেনি। তাদেরকে বলা উচিত, কেন এরকম কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তোমাদের দেশ। রোহিঙ্গাদের সাথে যা ঘটেছে এটা মানবতা বিরোধী। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আর কত সাহায্য করবে। কারণ, ওয়ার্ল্ড ফুড সংগঠন মার্চ থেকে আর কোনো খাবার দিবেনা। এভাবে আস্তে আস্তে সব সংগঠন গুলো চলে যাবে। তখন সরকারের উপর সব চাপ এসে পরবে। অতএব খুব দ্রুত এ ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি করতে হবে।