ঢাকাসহ ৮ মহানগরীতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতি দেয়া হবে না
তরিকুল ইসলাম সুমন : পরিবেশ ও নদীর পানি দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে। ঢাকাসহ ৮ মহানগরীতে নতুন করে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতি দেয়া হবে না। এর ফলে পরিবেশ ও পানি দূষণ কমে আসবে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য ইউটিলিটি সেবা গ্রহণ ও দূষণরোধে অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হবে।
গতকাল নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীসহ ঢাকার চারপাশে নদীগুলোর দূষণরোধ এবং নাব্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত ‘টাস্কফোর্স’-এর ৩৭তম সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভাপতিত্ব করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও টাস্কফোর্স এর সভাপতি শাজাহান খান। এসময় ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুস সামাদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয় যে, পরিবেশ ও নদীর পানি দূষণরোধে সাভারে ট্যানারির সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) ত্রুটিমুক্ত করতে শিল্প মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিয়েছে। সিইটিপি সম্পূর্ণভাবে স্থাপন ও কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ঠিকাদারের বিল পরিশোধ না করতে সভায় নির্দেশ দেয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, বুড়িগঙ্গা নদীর সম্পূর্ণ অংশ, তুরাগ নদীর আংশিক এবং ধলেশ্বরী নদীর আংশিক সীমানা পুনঃজরিপ করা হয়েছে। আপত্তিকৃত ১১৫৪টি পিলারের মধ্যে ৭৬২টি পিলারের পুনঃজরিপ কাজ শেষ হয়েছে। মহানগরের ৪৬টি খালের মধ্যে ২৬টি চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি খাল উদ্ধার, সংস্কার ও পাড় বাঁধাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা শহরের খালগুলো খননের জন্য ঢাকা ওয়াসা এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের কাছে ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে।
আরো জানানো হয়, আদি বুড়িগঙ্গা উদ্ধারে জরিপ কাজ সম্পন্ন এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে ৮ জন সার্ভেয়ারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নদীতীরে অনুনমোদিত স্থানে স্থাপিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরের কার্যক্রম নিতে হবে।