ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাউকে ফেরত পাঠাবে না বাংলাদেশ Ñপররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
তরিকুল ইসলাম : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাবে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা দিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। যাতে মিয়ানমার প্রত্যাবাসন নিয়ে তার প্রতিশ্রুতি এবং বাধ্যবাধকতাগুলো পুরন করে। বাংলাদেশ কোন ভাবেই কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাউকে প্রত্যাবাসন করবে না।
গতকাল রাজধানীর স্পেক্ট্রা করভেনশন সেন্টারে ‘আশঙ্কিত শৈশব : বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিশুদের ৬ মাস’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। গবেষণাটি সেভ দ্য চিলড্রেন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন যৌথ ভাবে করেছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেন এর প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোয়ালিটির পরিচালক রিফাত বিন ছাত্তার। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিওসহ সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার মূল রাখাইন রাজ্যে। আর এর সমাধানও সেখানেই খুঁজতে হবে। বাংলাদেশ অযৌক্তিক ভাবে এর ভার বহন করছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বইচ্ছায় এবং টেকশই প্রত্যাবাসন। রোহিঙ্গাদের ২৮ শতাংশ শিশু, যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এসব শিশুর মধ্যে ২৬ হাজার তাদের পিতা না হয় মাতাকে হারিয়েছে। আর প্রায় ৭ হাজার শিশু তাদের পিতা-মাতা দুইজনকেই হারিয়েছে। এসব শিশুর মধ্যে অনেকেই সেনাবাহিনীর বর্বর হত্যাজ্ঞগ্যের সাক্ষী এবং তারা মানসিক ভাবে খুবই আঘাতপ্রাপ্ত।
শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিশুদের খাদ্য, পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। সবার সহযোগিতা ছাড়া এতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সহজসাধ্য নয়। শরনার্থীদের আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য জরুরি সহায়তা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা অব্যাহত রাখা জরুরি।