‘টেকসই অর্থনীতির জন্য বীমা খাতের উন্নয়ন সময়ের দাবি’
ফয়সাল মেহেদী : দেশের অর্থনেতিক উন্নয়ন হচ্ছে। নতুন নতুন অর্থনৈতিক খাত সৃষ্টি হচ্ছে। তবে বীমা খাত দেশের অবহেলিত একটি খাত। অথচ এ খাত খুবই সম্ভাবনাময়। বীমা খাতের উন্নয়ন ছাড়া কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। টেকসই অর্থনীতির জন্য বীমা খাতের উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনে (বিআইএ) অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের বীমা শিল্পের বর্তমান অবস্থা: সমস্যা ও সমাধান’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বীমা বিষয়ক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র সহযোগিতায় বিআইএ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী। এতে সঞ্চালনা করেন বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন। এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইএ’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রফেসর রুবিনা হামিদ, একেএম মনিরুল হক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মানিক চন্দ্র দে, আইডিআরএ’র সদস্য গকুল চাঁদ দাস, বোরহান উদ্দিন আহমেদ এবং ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান টুংকু প্রমুখ।
বিআইএ প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন বলেন, যে দেশের বীমা খাত যত শক্তিশালী সে দেশের অর্থনীতি তত শক্তিশালী। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছি। দেশের অর্থনীতি যত এগিয়ে যাচ্ছে ততই বীমার উপযোগিতা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই এখন সময় এসেছে বীমা খাত উন্নয়নে সকলের একনিষ্ঠভাবে কাজ করার। এক্ষেত্রে সরকারের পাশপাশি আমাদেরও খাতটির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইডিআরএ চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, জনবল সমস্যার কারণে আমরা এখনো শক্তিশালী আইডিআরএ গঠন করতে পারিনি।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধি ও প্রবিধান প্রণয়ন করতে পারিনি। তবে আমরা চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যেই অনেকগুলো বিধি ও প্রবিধানের খসড়া প্রণয়ন হয়েছে। জনবল সমস্যাও খুব শিগগিরই কাটিয়ে ওঠা যাবে। তিনি বলেন, বীমা খাতের প্রধান সমস্যা ইমেজ সংকট, যা দূর করতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আমি আইডিআরএ যোগদানের পর প্রায় ২০০ কোটির বেশি টাকার দাবি পরিশোধ করা হয়েছে।
এছাড়াও বীমা নীতির বাস্তবায়নের সমস্যা ও সমাধানের কৌশল নির্ধারণ; প্রাধিকার ভিত্তিতে বীমা আইন, ২০১০ এর আলোকে বিধি/প্রবিধান প্রণয়নের সমস্যা ও সমাধানের কৌশল নির্ধারণ; নতুন বাজার সৃষ্টির সমস্যা ও সমাধানের উপায় এবং বর্তমান নিয়মানুযায়ী বিনিয়োগের সমস্যা ও নতুন কৌশল নির্ধারনের বিষয়ে আলোকপাত করেন বক্তারা।