চট্টগ্রামে মন্ত্রীর উপস্থিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষ, সম্মেলন প-
মো. শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন চলাকালে গণপূর্তমন্ত্রীর উপস্থিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সম্মেলন মঞ্চের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষে ১৩ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের পর সম্মেলন বন্ধ ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এদিকে উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সম্মেলনে ঢুকে সংঘর্ষ এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১২টায় নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, সকাল সাড়ে ১০ টার মধ্যেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে উপস্থিত হন প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা। সোয়া ১১টায় বাইরে এসে সম্মেলন উদ্বোধন করেন অতিথিরা। বেলা পৌনে ১২ টার দিকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে ডায়াসে যান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। তখনই শুরু হয় উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি স্লোগান। তাদের থামাতে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে বক্তব্য বন্ধ করে দেন জাকির। এই পরিস্থিতির মধ্যে বক্তৃতা দিতে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাকিব হাসান সৈয়দ। এসময় সম্মেলন কক্ষের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণায় আকস্মিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এর পরই সম্মেলনের বাইরে ফজলে করিম চৌধুরীর অনুসারী রাউজান ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত ১৩ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে বলে জানাগেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একপর্যায়ে সম্মেলনের বাইরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এর পর পুলিশের কড়া প্রহরায় অতিথিরা সম্মেলনস্থল ত্যাগ করে বেরিয়ে যান। এর পর সম্মেলনস্থলে ঢুকে রাউজান ছাত্রলীগের একটি অংশ মঞ্চ দখল করে ভাংচুর চালান এবং এবিএম ফজলে করিমের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, দু পক্ষের মারামারির কারণে সম্মেলন বন্ধ হয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত