একজন প্রকৌশলীর পক্ষে রাজনৈতিক প্রভাব এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়
গোলাম মাওলা রনি
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, প্রভাবশালীরাই দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ। এরা নিজেদের স্বার্থে আর্থিক অনিয়ম সহ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। এটা এক ধরনের ভোগাস কথা। তাকে আগে নিশ্চিত করে বলতে হবে, প্রভাবশালী কারা? উনাকে নিশ্চিত করে বলতে হবে, কে কে প্রভাবশালী? প্রভাবশালীরাই যে দুর্নীতিবাজ, এটা যদি উনি জানেন, তাহলে উনি কেন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না? উনাকে সংবিধানের মাধ্যমে সার্বভৌম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের মাধ্যমে সার্বভৌম ক্ষমতা দিয়েও উনি তাদের নামও বলতে পারতেছেন না, উনি তাদেরকে ধরতেও পারতেছেন না। তাদেরকে ফাঁকা একটি আওয়াজ করে, সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকে বলতেছেন আপনারা ব্যবস্থা নিন। এতে কোন কাজ হবে না, এটা সম্পুর্ণ লোক দেখানো। তিনি একজন চেয়ারম্যান। তার পদবি একটি সম্মানিত পদবি। কিন্তু তার স্টেটম্যান্ট হয়ে গেছে রাজনীতিবিদদের মত রঙচং স্টেটম্যান্ট। তার স্টেটম্যান্টকে কার্যকর করবার জন্য, তার প্রথম যেটা দরকার সেটা হলো, তাকে নির্দিষ্ট করে বলতে হবে, এরাই হলো প্রভাবশালী। ক্ষমতাসীন দলের সাথে থেকে এই এই প্রভাবশালীরা এই এই অনৈতিক কাজ গুলো করে যাচ্ছে। এবং দু’চারজন প্রভাবশালীকে ধরে ব্যবস্থা নিয়ে বলা যে, আমি আমার ক্ষমতা দিয়ে দু’জন কে ধরেছি। এখন তোমরা কয়েকজনকে ধরে ব্যবস্থা গ্রহণ কর। তিনি তো নিজেই এই কাজ টা করে কোন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেননি। নিজেই যেহেতু কোন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেননি, তাহলে তিনি তো অন্যকেও এধরনের কথা বলতে পারেন না। তিনি বলেছেন, তদবিরবাজদের প্ররোচনায় কেউ অনৈতিক কাজ করবেন না। তদবিরবাজ বলতে উনি যা বুঝাতে চেয়েছেন, এ কথারও কোন ভিত্তি নেই। কারণ, এখন বাংলাদেশে একটি পদ্ধতি হয়ে আসছে, তাতে একজন প্রকৌশলী, তিনি প্রধান প্রকৌশলী হোক আর নির্বাহী প্রকৌশলী হোক, তার পক্ষে রাজনৈতিক প্রভাব এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কথাটা যেই বলুক না কেন। রাষ্ট্রশক্তির যে ক্ষমতা গুলো আছে, সেগুলোর মধ্যে বিচার বিভাগ, দুদক এবং পুলিশ প্রশাসন। এই জিনিস গুলো যখন দৃষ্টান্তমূলক ভাবে তথাকথিক তদবির বা তথাকথিত প্রভাবশালী, যাদের কে অন্যায় কাজের জন্য ধরবে এবং নিরপেক্ষভাবে তাদেরকে শাস্তি দিবে, তখন প্রকৌশলী অফিস এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যাবে। তাদেরকে ডেকে কোন প্রকার মিটিং এর প্রয়োজন হবে না।
পরিচিতি : সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ/মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ