থেরেসার ব্রেক্সিট ভাষণ ঘিরেই সব কৌতুহল
লিহান লিমা : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ইউরোপিয় ইউনিয়নের ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়া প্রত্যাখ্যানের পর এখন থেরেসার ব্রেক্সিট ভাষণের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। আজ থেরেসা ব্রেক্সিট বক্তৃতা দিবেন বলে আশা করা হচ্ছে। গার্ডিয়ান
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রেক্সিটের পর ইউকে-ইইউর সম্পর্ক নিয়ে মন্ত্রীপরিষদের সঙ্গে বৈঠক করবেন থেরেসা। এই বৈঠকে শুক্রবারের ব্রেক্সিট বক্তৃতা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট। মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর থেরেসা ইউরোপিয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাস্কের সঙ্গে দেখা করবেন ও নিজের ব্রেক্সিট ভাষণ সম্পর্কে তাকে অবহিত করবেন। এর আগে গত বুধবার ইইউর খসড়া প্রস্তাব প্রত্যাখান করে থেরেসা বলেন, উত্তর আয়ারল্যান্ড সীমান্ত সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন না হলে তিনি এই খসড়া মেনে নেবেন না। প্রসঙ্গত, ইইউর খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়, ব্রেক্সিটের পর উত্তর আয়ারল্যান্ড ও ইইউভুক্ত আয়ারল্যান্ডের মধ্যে কোনো সীমান্ত থাকবে না। অবাধে চলাচল করতে পারবে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেন, যদি ইউরোপিয় নেতারা ইইউর সংস্কার করে ( বিশেষ করে অভিবাসন এর ক্ষেত্রে) তাহলে ব্রিটিশ জনগণ তাদের ভাবনা পরিবর্তন করবে। এই সময় তিনি ইইউ নেতাদের আহ্বান জানিয়ে ব্রেক্সিট বন্ধ করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর কথা বলেন। ব্রেক্সিট বিরোধী এই নেতা আরো বলেন,উত্তর আয়ারল্যান্ড ঝুঁকির মধ্যে আছে। তবে ব্রেক্সিটের খাতিরে জনগণকে অবশ্যই উত্তর আয়ারল্যান্ডের শান্তি পরিকল্পনার সঙ্গে সমঝোতা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৩ জুন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দেয় ব্রিটেনের জনগণ। ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ ব্রেক্সিট কার্যকর হ্ওয়ার কথা আছে। তবে থেরেসার ইইউ’র খসড়া প্রত্যাখ্যানের মধ্যদিয়ে এটি দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সম্পাদনা : শোভন দত্ত