বিশ্বের ১০টি লিড গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে ৭টি বাংলাদেশে : পরিবেশ ও বনমন্ত্রী
স্বপ্না চক্রবর্তী : বিশ্বের ১০টি লীড গ্রিন ফ্যাক্টরির ৭টি ফ্যাক্টরিই বাংলাদেশের বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, বিশ্বের দরবার বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল একটি দেশের নাম। বিশেষ করে তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানীতে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেক দেশের চাইতে বেশি। এমনকি এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের চাইতেও এগিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত লীড (লিডারশীপ ইন এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন) গ্রিন ফ্যাক্টরি সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা শিল্পকে সবুজায়নের জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিজিএমইএর সহযোগিতায় ইউএসজিবিসি (ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সি) ও জিবিসিআই (গ্রিন বিজনেস সার্টিফিকেশন ইনকর্পোরেট) এর যৌথ উদ্যোগে ১৩টি লীড প্লাটিনাম সনদপ্রাপ্ত পোশাক কারখানাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিবিসিআই এর এশিয়া, প্যাসিফিক এবং মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোপালা কৃষ্ণনান পাদনামাভন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের একটি বিপ্লব ঘটেছে। এখন পর্যন্ত এই শিল্পের ৬৭টি কারখানা ইউএসজিবিসি থেকে লীড সনদ লাভ করেছে এর মধ্যে ১৩টি প্লাটিনাম কারখানা রয়েছে। আরো প্রায় ২৮০টি কারখানা লীড সার্টিফিকেশনের জন্য ইউএসজিবিসিতে নিবন্ধিত হয়েছে যারা খুব তাড়াতাড়ি লীড কারখানা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
লীড গ্রিন ফ্যাক্টরি এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত ১৩টি কারখানার মধ্যে সর্বোচ্চ ৯০ নম্বর পেয়ে সম্মাননা লাভ করে ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও লি.। সম্মাননা প্রাপ্ত অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো রেমি হোল্ডিংস লি., তারাসিমা এ্যাপারেলস লি., প্লামি ফ্যাশনস লি., কলামবিয়া ওয়াশিং প্লান্ট লি., ইকোটেক্স লি., এসকিউ সেলসিয়াস ইউনিট-২ লি., কানিজ ফ্যাশনস লি., জেনেসিস ওয়াশিং লি., এসকিউ বিরিকিনা লি., এসকিউ কোলব্লাংক লি. এবং এনভয় টেক্সটাইল লি.।