াভিসা বর্ধিত না করা হলেও তারা অবৈধ হয়ে পড়ে
রাজেকুজ্জামান রতন
বাংলাদেশ পৃথিবীর সপ্তম বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ। আগে চা, পাট, চামড়া রপ্তানি করা হতো। এখন জনশক্তি রপ্তানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় অংশ বিদেশের রেমিটেন্সের ওপর নির্ভর করছে। এক কোটি সাত লক্ষ প্রবাসী পৃথিবীর ১৬৭টি দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। তারা রাতের অন্ধকারে কাজ করে। সাত আট লক্ষ মানুষের বৈধ কাগজ নেই। সৌদি আরবে একটা বিরাট অংশ অবৈধ। অবৈধ হলে দুটো সমস্যা। এক, জেলে যেতে হতে পারে; দুই, যারা কাজ দেয় তারা সস্তায় কাজে নেয়। যেহেতু কাগজ নেই তাই তারা দরদাম করতে পারে না। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গুরুত্ব দেয়া উচিত। কারণ, এখানে দেশের মর্যাদার প্রশ্ন জড়িত রয়েছে। সমাজের সাথে যেন খাপ খাইয়ে চলতে পারে তা দেখা । কাজের ব্যবস্থা করার সাথে লেবার তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন। বড় একটা স্বপ্ন নিয়ে তারা দেশের মায়া ছেড়ে বিদেশে গিয়েছিল।
নিজেরা বিদেশে কাজ করবে, দেশে টাকা পাঠাবে। অবৈধ হওয়ার কারণে তারা কোনো কিছুই করতে পারছে না। কাগজপত্র নিয়ে যেন তাদেরকে কোনো সমস্যা করা না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। ভিসা বর্ধিত না করা হলেও তারা অবৈধ হয়ে পড়ে। যারা যায় তারা নিজেদের উদ্যোগে যায়। বিপদে পড়লেও নিজেদের উদ্যোগেই তা সামাল দিতে হয়। এক্ষেত্রে যদি কোনো ফোন নম্বর থাকতো, যাতে তারা ফোন করে যোগাযোগ করতে পারে যে, আমি এখানে আছি। তাহলে তাদের জন্য ভালো হতো। দুতাবাসগুলো সক্রিয় হলে খোঁজ খবর নিতে পারে। তাদেরকে সম্মানের সাথে যেন দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সেটা দেখা। শ্রমিক বিষয়ক লেনদেনে তাদের সহায়তা করা।
পরিচিতি : কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য, বাসদ/মতামত গ্রহণ: সানিম আহমেদ/ সম্পাদনা: মাহবুবুল ইসলাম।