গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচনে নতুন আইন পাশ
আনোয়ার হোসেন : গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচনের জন্য নতুন আইন পাশ করেছে সরকার। এটি গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচনের তৃতীয় দফা উদ্যোগ। গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয় এ সম্পর্কিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচনের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিশন গঠন করা হবে। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার থাকবেন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিএমডি বা উপব্যবস্থাপনা পরিচালক। আর অপর দুইজন নির্বাচন কমিশনার হবেন গ্রামীন ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক। যাদের বেছে নিবেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান। নতুন এই প্রজ্ঞাপনটিতে ভোটারদের পরিচয়পত্রের নমুনা ফরম দেয়া হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনার প্রয়োজনীয় সংখ্যক রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করবেন। রিটার্নিং অফিসারের পরামর্শে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে নিয়োগ পাবেন আরো সহকারী রিটার্নিং অফিসার। গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান খন্দকার মোজাম্মেল হক ২০১৭ সালের জুলাই মাসে অর্থমন্ত্রীর কাছে বিধিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়ে একটি চিঠি দেন। যার প্রেক্ষিতে নতুন বিধিমালার উদ্যোগ নেয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচনের বিধিমালা প্রণয়ন করে ২০১৪ সালে। তখন ছয় মাসের মধ্যে পরিচালক নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংকে। পরে তৎকালীণ গভর্নর অর্থমন্ত্রীর কাছে তার অপারগতা জানায়। পরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজের নেতৃত্বাধীন কমিশন নির্বাচন করে দেবে বলে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর তিন বছর পার হয়ে যায় এবং ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রামীণ ব্যাংকের পর্ষদ সদস্যদের মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। সেই থেকে সরকারের মনোনিত চেয়ারম্যান ও তিন পরিচালক দিয়েই চলছে গ্রামীণ ব্যাংক। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ থেকে সড়ে দাঁড়ান নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুস। এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত এমডি দিয়েই চলছে ব্যাংকটি।