ভারতে বাড়ছে ধনকুবের সংখ্যা
এবেলা : গত এক বছরে দেশে বিলিওনিয়ারের সংখ্যা এক লাফে অনেক বেড়েছে। এমনটাই সামনে এল আন্তর্জাতিক সমীক্ষা সংস্থার রিপোর্টে। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে দেশে ১০০ কোটির মালিকের সংখ্যা কমেছিল। নোটবাতিলের বছরে ১১ জন ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন। আর ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে সেই তালিকায় নতুন ঢুকলেন ৩১ জন। বিশ্বের ৬৮টি দেশের ২,৬৯৪ জন ব্যক্তি এবং ২,১৫৯ কোম্পানির তালিকা প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। প্রতি বছরেই হারুন রিপোর্ট নামে ধনীদের এই তালিকা প্রকাশিত হয়। এই বছরে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে চিন। ২০১৭ সালেও চিন ছিল এক নম্বরে ও আমেরিকা দু’নম্বরে। কিন্তু দুই দেশের ১০০ কোটির মালিকের সংখ্যা ছিল একেবারে গায়ে গায়েÑ যথাক্রমে ৫৩৫ ও ৫৩৪। এবার আমেরিকাকে অনেক পিছনে ফেল চিনে সেই সংখ্যা হয়েছে ৮১৯। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আমেরিকায় ১০০ কোটির মালিক ৫৭১ জন। তৃতীয় স্থানেই ভারত। মোট বিলিওনিয়ারের সংখ্যা ১৩১। চিন ও আমেরিকার তুলনায় তৃতীয় ভারত অনেক পিছিয়ে থাকলেও গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে মোট সংখ্যা। ১০০ থেকে ৩১ বেড়ে হয়েছে ১৩১। হারুন রিসার্চ সেন্টারের প্রধান রুপার্ট হুগারওয়েরফ জানিয়েছেন, ভারতের এমন ভাল ফলের কারণ গত এক বছরে দেশের স্টক মার্কেট খুব ভাল পার্ফরমেন্স দেখিয়েছে। এই তালিকা বলছে এই মুহূর্তে তালিকার এক নম্বরে রয়েছেন অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোস। সম্পদের পরিমাণ ১২৩ বিলিয়ন। এক থেকে তিন নম্বরে চলে এসেছেন মাইক্রোসফটের কর্ণধার বিল গেটস। ফেসবুকের প্রধান মার্ক জুকেরবার্গ চতুর্থ। ভারতের শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী রয়েছেন বিশ্ব তালিকার ১৯ নম্বরে।মুকেশ অম্বানী বরাবরের মতো ভারতের সব থেকে ধনী হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও উল্লেখযোগ্য ভাবে সম্পদ বেড়েছে শিল্পপতি গৌতম আদানির। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ
তিনি রয়েছেন ৯৮ নম্বরে। আরও গুরুত্বপূর্ণ হল এবার এই তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছেন যুবক শিল্পপতি পেটিএম-এর মালিক বিজয়শেখর শর্মা।
ওই তালিকায় ভারতীয়র সংখ্যা ১৩১ হলেও, যদি ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের হিসেব করা হয় তবে সেটা হয়ে যাবে ১৭০।
হারুন রিপোর্ট বলছে, গত এক বছরে প্রতি দিন বিশ্বে এক জন করে কুবেরপতি হয়েছেন। এর মধ্যে আবার শুধু চিনে প্রতি সপ্তাহের গড়ে চার জন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ