জীবন জয়ের জাদু!
জুয়েল আইচ
জীবন জয়ের জাদু । ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূতের জাদুকরী অনুপ্রেরণা। বয়সন্ধিকাল বড় ভয়ংকর সময়। বয়স যখন দশ থেকে ঊনিশ, শরীর মন পরিবার পরিবেশ সব কেমন যেন আগ্রাসী হয়ে ওঠে। এই সময় একটা ছেলে যত রকম সুনামি আর ক্যাটরিনার ঢেউএ আছাড় পাছাড় খায় তার ফিরিস্তি একখানা বইয়ে কুলোবেনা। বালক থেকে চোখের সামনে পুরুষ হওয়ার ম্যাজিক। কন্ঠস্বর, গোঁফ দাড়ি, .. .. গজ থেকে নারকেল গাছ হয়ে ওঠা। কি লন্ডভন্ড কান্ড! একটি মেয়ে শিশু যখন মহিলা হিসেবে, আবির্ভূত হয়, তার পরিবর্তনটাতো ম্যাজিকের চেয়েও বিষ্ময়কর। মা হতে হলে ভেতরে বাইরে যা কিছু পরিবর্তন দরকার, শরীরের হাড়, বুকের পেশী পর্যন্ত সব চোখের সামনে পাল্টে একদম শুঁয়া পোকা থেকে বহুরঙা প্রজাপতি হয়ে ওঠা। কি দারুণ কান্ড! এরচেয়েও ভয়ংকর ঘটনা ঘটে যায় আর এক দল মানুষের ভাগ্যে। বাবা-মার মিলনের ফলে সন্তান যেভাবে পৃথিবীতে আসে ওরাও ঠিক তেমনিই আসে। নিষ্পাপ নির্দোষ এই মানুষগুলোর ওপর শুধু শুধু পরিবার, স্কুল, ডাক্তার, সমাজ সবাই এমন হৃদয় বিদারক আচরণ শুরু করে যা বর্ননাতীত। এবং এক সময় প্রকৃতির নির্মম রসিকতার সাথে যুক্ত হয় ভাই বোন বাবা মা সমাজ সবাই। ওহ্ কি নিষ্ঠুর মানুষ আমরা! নিরপরাধ এই মানব সন্তানদেরকে তার সমস্ত ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। তাড়িয়ে দেয়া হয় পরিবার থেকে, সমাজ থেকে। তাদের কেউ থাকেনা।
কিছুই থাকে না। প্রকৃতির অপরাধে ওরা হয়েছে হিজড়া। আমি এবার এই তিন দলকেই উজ্জীবিত করেছি। হিজরা তরুণ/তরুণীরা বুকে দৃঢ় মুষ্টি রেখে প্রতিজ্ঞা করেছে, ওরা কিছুতেই হিজড়া বস্তিতে যাবেনা। কারো কাছে করুনা ভিক্ষা করবেনা। লেখা পড়া গান বাজনা সব করবে বিশ্বমানের। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে বিদায়ের সময় ওদের তিনজন প্রতিজ্ঞা করলো, তারা জাদুশিল্পী হবে। “আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।
পরিচিতি : জাদুশিল্পী/ফেসবুক থেকে