লবণাক্ত জমিতে সবজির চাষ, দক্ষিণাঞ্চলে কৃষির নব বিপ্লব
জয়নুল আবেদীন,আমতলী (বরগুনা): দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত পতিত জমিতে সবুজের সমারোহ। কৃষকের মুখে হাসি। এক সময় যে জমিতে লবণের আবরণ জেগে উঠতো সেই জমি এখন সবুজে ঘেরা। চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। বিএআরআই সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও কৃষিতত্ত্ব বিভাগ যৌথ উদ্যোগে এ সফলতা পেয়েছে।
আমতলী কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২ হাজার হেক্টর জমি লবণাক্ততার কারণে পতিত অবস্থায় পড়ে থাকতো। এক ফসলি হিসেবে শুধু আমনের চাষ করতো কৃষকরা। রবি মৌসুমে লবণাক্ততার কারণে কোনো রবি শস্য উৎপাদন হয়নি। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে জমিতে লবনের আবরণ জেগে উঠে । লবণাক্ততার কারণে ফসল পুড়ে যেত বিধায় কৃষক ওই জমি চাষাবাদ করতো না । ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত এ জমির লবণাক্ততার মাত্রা ২-১০ ডিএস-মিটার বলে জানান সরেজমিন গবেষণা বিভাগ। ২০১৪ সালে বিএআরআই (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট) পটুয়াখালী গবেষণা বিভাগ, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও কৃষিতত্ত্ব বিভাগ দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত পতিত জমিতে বারি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধির প্রকল্প হাতে নেয়। উপজেলার বান্দ্রা বাজার সংলগ্ন সেকান্দারখালী গ্রামে ৩০ জন কৃষক নিয়ে একটি দল গঠন করে। ওই কৃষকদের উৎসাহিত করে চাষাবাদ শুরু করে সরেজমিন বিভাগ। বারি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে গবেষণামূলক ৫০ শতক জমি নিয়ে কাজ শুরু করে। তেমন সফলতা না পেলেও হাল ছাড়েনি। পরবর্তী বছরে ২০১৫ সালে .৭ হেক্টর, ২০১৬ সালে ১ হেক্টর, ২০১৭ সালে ১.৫ হেক্টর ও এ বছর ৩ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করেছে।
দিন দিন এ প্রযুক্তির প্রসারতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান