তালেবান শান্তি প্রক্রিয়ার সর্বত্র নারী
থাকতে হবে : আফগান প্রেসিডেন্টইমরুল শাহেদ : আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেছেন, তালেবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার সর্বত্রই নারীদের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। তাদের সঙ্গে এই ঐতিহাসিক আলোচনায় গতি সঞ্চারে নারীরাও একটা সহায়ক শক্তি। ঘানি বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএনের আমানপোরের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাদের নারীদেরও তাদের নিজের বিষয়ে কথা বলতে হবে, তাদেরকে জনগণের মধ্যে স্থান করে নিতে হবে। আমাদের ১০ জন উপমন্ত্রী, পাঁচ জন রাষ্ট্রদূত এবং তিন জন মন্ত্রী আছেন নারী। নারীদের সক্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। তারা শান্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত হচ্ছে।’
তালেবান মৌলবাদিরা ইসলামের কথা বলে নারীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করেন।
আলোচনায় নারীদের অন্তর্ভুক্তি তালেবানদের আলোচনার টেবিল থেকে দূরেও সরিয়ে দিতে পারে। এই নাজুক পরিস্থিতিতেই ঘানিকে চেষ্টা করতে হচ্ছে তালেবানদের আলোচনার টেবিলে আনার জন্য। কারণ দেশটিতে রয়েছে পাশ্চাত্যের উদারনৈতিক মিত্ররা।
ঘানি বুধবার তালেবানদের সঙ্গে শর্তহীন আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি তালেবানদের রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকার করে নেওয়ার কথা বলেছেন এবং তাদেরকে রাজনৈতিক অফিস খোলারও অনুমতি দিতে চান।
এই প্রস্তাবে তালেবানরা অনেকটা শীতলভাবেই সাড়া দিয়েছেন। তারা এটাকে অযৌক্তিক এব্ং মার্কিন প্রভাবিত বলে আফগান সরকারকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তালেবানদের কাছে ঘনির প্রস্তাবটিকে সাহসীই বলতে হবে। তালেবানরাও ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলার পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট আফগানিস্তানে হামলা চালায় এবং তখন তালেবানরা ক্ষমতাচ্যুত হয়। তালেবানরা ঘানির অফারটা এমন একটা সময়ে পেয়েছেন যখন একটা সমাধানের জন্য সকলেই উদগ্রীব। যুক্তরাষ্ট্র গত ১৬ বছর যাবত আফগানিস্তানে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
আশরাফ ঘানি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাহিনী প্রত্যাহার হওয়ার পর আমরা ধীর গতিতে এগুচ্ছি। আমাদের চার বছরের একটা পরিকল্পনা আছে। আমরা বেপরোয়া পরিস্থিতির কারণে অফারটা দেইনি। আমাদের জনগণের উপর যে ধরনের হামলা হচ্ছে তা শক্তির চাইতে দূর্বলতাই বেশি প্রকাশ পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই মীমাংসার অফার দেওয়া হয়েছে।’
তালেবানরা দেশটিকে শাসন করার লক্ষ্য নিয়েই বিদ্রোহ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ইসলামি শরিয়াহ অনুসারে দেশ শাসন করতে চায়। সূত্র : সিএনএন