শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আইপিও কোটার মেয়াদ বৃদ্ধি
মাসুদ মিয়া : শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) কোটা নিয়ে দুশ্চিন্তা কেটেছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের কোটার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত।
সময়সীমা বৃদ্ধির বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান বলেন, ‘মূলত ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের কথা ভেবে সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিলাম। ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। আশা করছি, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী এতে উপকৃত হবেন। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা ২০১২ সাল থেকে আইপিও কোটা সুবিধা ভোগ করে আসছেন। এর সময়সীমা গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সময় বাড়ানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল বিএসইসি।
এর আগে ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮ মাস সময়ে ২০ শতাংশ কোটায় আবেদনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত আবেদনকারীর তালিকা তৈরি করে জমা দেওয়া হয় কমিশনে। এতে ৯ লাখ ৩৩ হাজার ২৮০ ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীকে কোটা সুবিধার আওতায় নেওয়া হয়। তালিকায় রয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ২০৪ ব্রোকারেজ হাউসের সাত লাখ ৩৯ হাজার ৮৮৩ জন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ১০৩টি ব্রোকারেজ হাউসের এক লাখ ৫৪ হাজার ২৭৭ জন এবং ২৫ মার্চেন্ট ব্যাংকের ৩৯ হাজার ১২০ জন।
শেয়ারবাজারে অস্বাভাবিকতা রোধ, স্থিতিশীলতা ও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষায় ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নেতৃত্বে বিশেষ সুবিধা দিতে ২০১২ সালের ৫ মার্চ স্কিম ঘোষণা করে। মিউচুয়াল ফান্ড ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের মতো নির্ধারিত কোটার মতো এই স্কিমে মার্জিন ঋণ হিসাব ও নন-মার্জিন হিসাব (বিও) উভয় ক্ষেত্রে চিহ্নিত ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীর জন্য ২০১২ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ইস্যু হওয়া সব পাবলিক ইস্যুতে ২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত এর মেয়াদ পঞ্চমবারের মতো বাড়ানো হয়েছে। সম্পাদনা : আনিস রহমান