ইস্যু মূল্যের নিচে ৭৫ শতাংশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড
ফয়সাল মেহেদী : মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ। তবে নানা করাণে এ খাত থেকে ক্রমেই আস্থা হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। তাদের অনাগ্রহে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৭৫.৬৮ শতাংশ বা ২৮টি ফান্ডের ইউনিট দর দীর্ঘদিন ধরে ইস্যু মূল্য বা ফেসভ্যালুর নিচে রয়েছে। এছাড়াও ৫টি ফান্ডের ইউনিট দর অবস্থান করেছে ফেসভ্যালুতে। বাকী ৪টি ফান্ডের ইউনিট দর রয়েছে ইস্যু মূল্যের উপরে।
অভিযোগ আছে, শেয়ারবাজারের ক্রান্তিকালে বাজারকে সহায়তা করার জন্য মিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠন করা হলেও ফান্ডের টাকা ফিক্সড্ ডিপোজিট করে রাখা হচ্ছে। এমনকি গবাধিপশুর ফার্মেও ইনভেস্ট করা হচ্ছে। ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিতেও বিনিয়োগ রয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। এ কারণে মিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠনের উদ্দেশ্য সঠিকভাবে পুরণ হচ্ছে না। আর বিনিয়োগকারীদের আস্থা না থাকায় অধিকাংশ ফান্ডের ইউনিট দর অভিহিত মূল্যের অর্ধেকেরও নিচে নেমে গেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের শেয়ারবাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর ভালো অবস্থানে। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টো অবস্থা। বাজার যখন উঠা-নামা করে তখন মার্কেটের ভারসাম্য রাখতে বড় ভূমিকা রাখে মিউচ্যুয়াল ফান্ড। কিন্তু মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে অতীতে অনেকই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখন এ খাতে বিনোয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। এর জন্য অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোর উদাসীনতা ও ব্যর্থতা দায়ী। তারা বলেন, বাজারের স্বার্থে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ বাড়াতে হলে ফান্ড ম্যানেজারদের দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আনতে সংশ্লিষ্টদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
মডার্ন সিকিরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা-নূরই নাহরিন বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠনের উদ্দেশ্য পূর্ণাঙ্গ ভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
বাজারের স্বার্থে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোকে দায়িত্ব সহকারে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে ফান্ডগুলোর প্রকৃত বিনিয়োগ চিত্র বিনিয়োগকারীদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। তাহলে এ খাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।