বর্তমান নির্বাচন কমিশন পূর্বের থেকেও খারাপ : মওদুদ
প্রিন্স মাহামুদ আজিম : দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ইসির উপর বরাবরই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি ক্ষমতাসীনদের পরাজিত করবে। কিন্তু সে দলের নেত্রীকে জেলখানায় বন্দি রেখে এবং তার দলকে কোনো সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে সরকারি খরচে আওয়ামী লীগ নির্বাচনি প্রচারণা চালাবে। এটা হতে পারে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন যদি সঠিকভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতো তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রচারণা বন্ধ করে দিত অথবা বিএনপির জন্য সমান অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করত। বর্তমান নির্বাচন কমিশন পূর্বের নির্বাচন কমিশন থেকেও খারাপ। সরকারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ। টিভিএনএ’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সকল কৌশল ও ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে বেগম জিয়া আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। তিনি জামিন পেয়ে মুক্ত হওয়ার পর বিএনপি পূর্বের থেকে দ্বিগুণরূপে চাঙ্গা হয়ে উঠবে। কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এবং প্রতিহিংসা থেকেই বেগম জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার চক্রান্তের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করলেও তাকে ছাড়া আগামী নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ যদি চিন্তা করে, এক দলীয়ভাবে আগামী নির্বাচন করবেন। সেটা কিছুতেই দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই সরকারের উচিত প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টি করা।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, কৃষি, বিদেশি রেমিট্যান্স ও পোশাক শিল্প এই তিনটি সেক্টরের উপর দেশের অর্থনীতি বেশি নির্ভর করে। এ তিনটি সেক্টর প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রসারণ করেছে বিএনপি। সুতরাং সরকারের আজ উন্নয়নের কৃতিত্ব দাবি ভিত্তিহীন। বর্তমানে দেশের উন্নয়নে সরকারের কোনো অবদান নেই।