উখিয়া-টেকনাফের ২৬ হাজার একর বনভূমি ধ্বংসের পথে
শ.ম.গফুর,উখিয়া(কক্সবাজার) : বাংলাদেশের ক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে নি:শেষ হতে চলছে উখিয়া- টেকনাফের বিশাল বনভূমি। যেসব শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, সেসব এলাকা মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে। কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় এসব শিবির এলাকায় ৮৩ শতাংশ পানি দূষিত হয়েছে। ভূগর্ভের পানির স্তর আশঙ্কাজনকভাবে নেমে যাচ্ছে। এ ছাড়া পাহাড় কেটে সমান করার ফলে দীর্ঘ মেয়াদে সেখানকার ভূমির প্রকৃতি বদলে যাচ্ছে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এক গবেষণা জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ‘রোহিঙ্গা ঢলের পরিবেশগত প্রভাব’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাছ কেটে বসতি স্থাপন ও জ্বালানি সংগ্রহের কারণে ওই এলাকার ২৬ হাজার একর বনভূমি আগামী প্রায় ১ বছরের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাবে। সেখানকার সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য, বিশেষ করে হাতির চলাচল স্থায়ীভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। অন্যান্য প্রাণীও ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে।প্রতিবেদনে সাতটি সূচকে পরিবেশগত ক্ষতি তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ভূগর্ভের পানির স্তর নেমে যাওয়া ও মাটির ধরন বদলে যাওয়াকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে বলা হয়েছে, ভূ-উপরিস্থ পানির স্তর, বায়ুদূষণ, পয়নিষ্কাশন-সংক্রান্ত ক্ষতি চেষ্টা করলে মধ্য ও স্বল্প মেয়াদে পোষানো সম্ভব। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ মিলে গত ডিসেম্বরে গবেষণা জরিপটি সম্পন্ন করেছেন। সরকারি তথ্য ও আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণা থেকে তথ্য নেওয়ার পাশাপাশি গবেষক দলটি নিজেরাও সরেজমিনে রোহিঙ্গা শিবির এলাকা পরিদর্শন করেছে।
এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার ও দলীয় আলোচনার ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান