‘বিক্রির পর কৃষি যন্ত্রপাতির সেবা নিশ্চিত করতে হবে’
ডেস্ক রিপোর্ট : বিদেশ থেকে আমদানি করে বিক্রয়ের পর কৃষি যন্ত্রপাতির সঠিক বিক্রয়োত্তর সেবা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে কৃষকরা এসব যন্ত্রপাতি থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফলবে। তাছাড়া সরকারকে এ বিষয়ে একটি সমন্বিত নীতিমালার মাধ্যমে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগের অধ্যাপক মো. মঞ্জুরুল আলম।-জাগো নিউজ
বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগের যৌথ জরিপের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ব্যবহার্য কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলারের সংখ্যা সাড়ে ৫ লাখ। গড়ে প্রতি বছর প্রায় ৬০ হাজার পাওয়ার টিলার আমদানি করা হচ্ছে। বর্তমান বাজারে ৭০ শতাংশ পাওয়ার টিলার আমদানি করছে চিটাগাং বিল্ডার্স অ্যান্ড মেশিনারি লিমিটেড। এ বাজারটি গত কয়েক বছর ধরেই ওঠানামার মধ্যে রয়েছে। ২০১১ সালে ৪২০ কোটি টাকার পাওয়ার টিলার বিক্রি হলেও পরের বছরে তা ৪০২ কোটি, ২০১৩ সালে ৩০০ কোটি, ২০১৪ সালে ৪২০ কোটি এবং ২০১৫ সালে ৪৩৭ কোটি টাকার পাওয়ার লিটার বিক্রি হয়। ২০১৬ সালে ৪২০ কোটি এবং ২০১৭ সালে সাড়ে চারশ কোটি টাকার পাওয়ার টিলার বিক্রি হয়েছে। আর দেশের বাজারে ৭০ শতাংশের বেশি দখল রয়েছে চিটাগাং বিল্ডার্স এ্যান্ড মেশিনারী লিমিটেডের। এর বাইরে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পাওয়ার টিলার আমদানি করে থাকে। সরেজমিনে দেখা গেছে নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার চাংলা ড্যাংগিরকুল গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন জানান, গত বছরের শুরুর দিকে চিটাগাং বিল্ডার্সে আমদানিকৃত সাইফিং কোম্পানির একটি পাওয়ার টিলার ক্রয় করেন। কেনার সময় কোন ওয়ারেন্টি দেওয়া না হলেও ডিলারা জানান তারা সবসময়ই সার্ভিস দিবেন। এখন পর্যন্ত দুইবার চেইন ও গিয়ার বক্স পরিবর্তন করেছেন। একই অবস্থা বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার শালুকগাড়ি গ্রামের আমিনুল হক দুলাল বলেন, এক বছর আগে চিটাগাং বিল্ডার্সের আমদানিকৃত চায়না কোম্পানির ডংফিং নামে একটি পাওয়ার টিলার কিনেছি। এ গাড়িটি হালকা হওয়ায় জমি চাষ করতে অনেক সুবিধা হয়। তবে দাম কম হলেও গাড়ি খুব তেল খায় এবং এর খারা চেইনটি খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এ বিষয়ে চিটাগাং বিল্ডার্স এ্যান্ড মেশিনারী লিমিটেডের মহাব্যস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডিলার পয়েন্ট থেকে গাড়ি বিক্রির সাথেই ওয়ারেন্টি দেয়া হয়। সাইফিং কোম্পানির গাড়িটি ১ বছর ওয়ারেন্টি থাকে। তবে ডংফিং কোম্পানির গাড়িটির কোন ওয়ারেন্টি থাকে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ডিলার পয়েন্টগুলোই সার্ভিসিং সেন্টার। তাছাড়া কোন ক্রেতা গাড়ির ব্যাপারে অভিযোগ করলে আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা বাড়িতে গিয়ে সার্ভিসিং করে দেয়।