সর্বত্র প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে নারী সদস্যরা
Ñ ডিআইজি মিলি বিশ^াস
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : পুলিশেও নারিরা পিছিয়ে নেই। ১৯৭৪ সালে প্রথম ৪ জন পুলিশে যোগদানের মধ্য দিয়ে নারী পুলিশের যাত্রা শুরু। এখন ভিকটিম সাপের্ট সেন্টার, রাজপথে মটর সাইকেল নিয়ে ট্রাফিকিং এমনকি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও সমান থাকলেও যোগ্যতা সাক্ষর রাখছে নারী পুলিশ সদস্যরা। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহনের আগে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সময়ে নারী পুলিশ সদস্য সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫শ’ ২০ জন। বর্তমানে এ সংখ্যা ১১ হাজার ৭৬৭ জন নারী পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি পদে আসীন হওয়া একমাত্র নারী পুলিশ সদস্য ফাতেমা গত ফেব্রুয়ারিতে অবসরে গেছেন। সেদিন আর বেশি দুরে নেই যেদিন পুলিশ প্রধান হিসেবেও নারীর মুখ দেখা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ সদর দফতরের এআইজি মিডিয়া সহেলী ফেরদৌস।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ পুলিশে নারী পুলিশ সদস্যদের আসার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকলেও কুসঙ্কার ও সামাজিক নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারনে নারীরা পুলিশে অনাগ্রহী ছিল। ওই সময় নারী পুলিশ সদস্যদের উজ্জীবিত করতে তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান জাতির জনক শেখ মজিবুর রহমান পুলিশের নারী সদস্যদের অগ্রাধিকার দেন। তার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে ১৪ সাহসী নারী পুলিশে যোগ দেয়। সেই থেকে শুরু। এরপর প্রতিবছর পুলিশে নারী সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানের সর্বমোট পুলিশ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬শ’৫৩ জন এরমধ্যে নারী পুলিশ রয়েছে ১১ হাজার ৭ শ’৬৭ জন। ডিআইজি পদ মর্যাদায় আছেন রৌশন আরা ও মিলি বিশ^াস এই ২ জন অতিরিক্ত ডিআইজি পদ মর্যদায় ৪ জন, পুলিশ সুপার ৩৭ জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ৯৩ জন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ১শ’২৬ জন ইন্সপেক্টর ( নিরস্ত্র) ১শ’১০ জন, এসআই ৬শ’৪৬ জন, সার্জেন্ট ৫৫ জন, এএসআই ৯শ’২৮ জন নায়েক ২৮ জন ও কনস্টবল ৯ হাজার ৭শ’ ৩৮ জন।
এ ব্যাপারে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পরিচালক আবিদা সুলতানা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নারী, সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী, স্পিকারসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে নারীরা দায়িত্ব পালন করে। সফলতার পরিচয় দিচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়নের আবহ চলছে বাংলাদেশে। এটা খুব ভাল দিক। একটা সময় ছিল নারীরা ঘর থেকে বের হতে গেলেই নানা রটনা ফতোয়া জারী করা হতো। এখন আর সে অবস্থা নেই। বিশেষ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নারী জাগরণের অগ্রদুতের ভুমিকা পালন করছেন। নারী শিক্ষা প্রসারে এবং নারীদের স্বাবলম্বি ও স্বনির্ভর করতে নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
ডিআইজি মিলি বিশ^াস বলেন, পুলিশে মেয়েরা অনেক ভাল করছে। আমরা যখন পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করি তখনো এত সুযোগ ছিল না। এখন মেয়েরা সহজেই পুলিশে ঢুকছে এবং ভালভাবেই নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে। তিনি বলেন দিন যত যাচ্ছে পুলিশ বাহিনীতে নারী পুলিশ সদস্যের সংখ্যাও তত বাড়ছে।