হংকংয়ে প্রাইম সোর্স ফোরামে বাণিজ্যমন্ত্রী সক্ষমতা বেড়েছে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন
জাফর আহমদ : হংকংয়ের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্র্য হার কমেছে, ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। বেড়েছে দক্ষ শ্রমশক্তি। ফলে বাংলাদেশ সবদিক থেকে বিনিয়োগের একটি চমৎকার দেশে পরিণত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হংকংয়ের হোটেল শেরাটন এইচকে-তে প্রাইম সোর্স ফোরাম আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রাইম সোর্স ফোরাম-এ ‘দি গ্লোবাল ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইকোনমিক অপরচুনিটিস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক উপস্থাপনায় তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বিনিয়োগকারীরা এখন শতভাগ বিনিয়োগ করতে পারবেন, প্রয়োজনে বিনিয়োগকৃত শতভাগ অর্থ এবং লাভ ফিরিয়ে নিতে পারবেন। পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রে ডাবল টেক্স সিস্টেম প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে হংকংয়ের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ বিশে^র মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। দেশের রপ্তানির প্রায় ৮১ ভাগ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। জিডিপিতে এ সেক্টরের অবদান প্রায় ১৩ ভাগ। এ শিল্পে জনবল প্রায় ৫০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগই নারী। দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে অত্যাধুনিক করে গড়ে তোলা হয়েছে। ইউএসগ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল স্বীকৃত ৬৭টি গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে। নিবন্ধিত রয়েছে আরও ২২০টি। এবার ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল যে ১০টি তৈরি পোশাক ফ্যাক্টরিকে এনার্জি অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) সার্টিফিকেট দিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের ৭টি রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখলকারী প্রতিষ্ঠান তিনটিও বাংলাদেশের। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত এখন শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছে। সম্পাদনা : আনিস রহমান