ক্ষমতাকে উপভোগের নয় দায়িত্ব পালনের সুযোগ মনে করি’
মতিনুজ্জামান মিটু : কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ক্ষমতাকে উপভোগের নয় দায়িত্ব পালনের সুযোগ মনে করি। গতকাল রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে জাতীয় কৃষি নীতি-২০১৮ এর খসড়ার ওপর পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কৃষি মন্ত্রনালয় এ কর্মশালা আয়োজন করে। সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ । বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, সাবেক খাদ্য মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আবদুল মান্নান। কৃষি নীতি-২০১৮ এর খসড়া উপস্থাপন করেন, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীর। স্বাগত বক্তব্য দেন বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হক। কর্মশালায় কৃষি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি সংস্থা এবং কৃষক প্রতিনিধিসহ ৩৫০ জন অতিথি হিসেবে অংশ নেন। জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৩ এর আলোকে তৈরী জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮ এর খসড়ার ওপর এসব অতিথিদের অনেকে তাদের মতামত দেন। এ মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন বিয়যোজনের পর জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশে কৃষির কোনো কোনো নীতি ছিলনা। শেখ হাসিনার সরকারই ক্ষমতায় এসে জাতীয় কৃষিনীতি তৈরী করে। ২০১৩ সালের জাতীয় কৃষিনীতিকে ঝেড়েপুছে নতুনভাবে জাতীয় কৃষিনীতি-২০১৮ চুড়ান্ত করা হচ্ছে। কর্মশালাসহ বিভিন্ন ভাবে মতামত নেয়া ছাড়াও জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮ এর খসড়া ওয়েবসাইডে দেয়া হয়েছে। দেশ বিদেশ থেকে যে কেউ মতামত পাঠাতে পারবেন। এব্যাপারে যে কোনো সাজেশন খোলামনে গ্রহন করা হবে। তিনি বলেন, অজ্ঞানেরাই সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে। একসময় ওরা নয়া কৃষির নামে হাইব্রিডের বিরোধিতা করেছিল। এখন জিএমও নিয়ে কথা তুলছে। ওরা মনে করে আমরা দেশকে ভালবাসিনা। ওরাই দেশকে ভালবাসে। মার থেকে মাসির দরদ বেশি হলে তাকে ডাইনি বলে।