মেধা যাচাইয়ে কোটা সংস্কার করা দরকার
মিজানুর রহমান
এ কোটা নিয়ে আমাদের সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা অনেক কথা বলেছেন। তারা মনে করেন যে, এ কোটা সংস্কার করা দরকার। সেক্ষত্রে যে মুক্তিযোদ্ধা কোটাটা আছে, এটি পুরোপরি যৌক্তিক নয়। কারণ, যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, তারা মুক্তিযোদ্ধার কোটার সুবিধা নেওয়ার জন্য এদেশে যুদ্ধ করেননি। তারা এদেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন, এদেশের স্বাধীনতার জন্য। যারা যুদ্ধ করেছিলেন তাদেরকে ৩০% কোটা দেওয়া হয়েছে। এ কোটার বিনিময়ে তাদের প্রজন্মকে চাকরি দিলে এ মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করা হয়। সরকারি চাকরির অধিকাংম পদ কোটানির্ভর হলে মেধা যাচাই করা হয় না। মেধাকে বাদ রেখে চাকরি দেওয়া হয়ে যায়। প্রতিবন্ধি কোটা যে ১% আছে, সেটি সঠিক আছে। কারণ, তারা আমাদেওন দেশের নাগরিক কিন্তু তারা প্রতিবন্ধি। প্রতিবন্ধি কোটা আরো কিছু বৃদ্ধি করলে ভাল হয়। উপজাতি কোটা আছে ৫%, এটি কোন যুক্তিসংগত নয়। নারী কোটা আছে ১০% এটিরও কোন যুক্তি নেই। সংবিধানের ২৭ নং একটি ধারায় আছে, যেখানে বলা আছে, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান সুবিধার অধিকারী। যেহেতু সংবিধান অনুযায়ি সবাই সমান অধিকার পাবে, তাহলে মেয়েরা অতিরিক্ত কোটার সুবিধা কেন ভোগ করবেন? উপজাতিদের ৫% কোটা দেওয়া আছে। তাদের ও এ কোটা না দেওয়া উচিত। উপজাতিরা তাদের মেধায় সর্বক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করুক। কোটার বিনিময়ে নয় । এছাড়া জেলা কোটা আছে এবং অন্যাণ্য যত কোটা আছে সব কোটাকে সংস্কার করা উচিত। একমাত্র প্রতিবন্ধি কোটা থাকা উচিত। এছাড়া বাকি যত কোটা আছে, সব কোটা সংস্কার করা উচিত । কোটা থাকলে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের একাডেমিক সার্টিফিকেট এর মূল্য দেওয়া হয় না। কোটা থাকলে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে প্রাধান্য কম দেওয়া হয়। এবং বিসিএস পরিক্ষার জন্য প্রিলিমিনারী থেকে কোন কোটা প্রথা চালু হওয়া উচিত নয়। পরিক্ষার আগে কোটা প্রথা চালু করলে অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা পরিক্ষা দিবে না। কারণ, সেখানে মেধা যাচাই করার সুযোগ দিচ্ছে না এবং তাদের কোটা নেই। সে ভাল ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও সে চান্স পাবে না। সেক্ষেত্রে নতুন করে যে নিয়ম চালু করছে, সেটি সঠিক বলে আমার মনে হয় না।
পরিচিতি : সহকারি শিক্ষক (ইংরেজি), নওয়াপাড়া ময়েজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কালিগঞ্জ, গাজিপুর / মতামত গ্রহণ: রাশিদুল ইসলাম মাহিন/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ