‘সিপিইসি’ কেবল পাকিস্তানের নয়: চীনা সংবাদপত্র
সান্দ্রা নন্দিনী: চীনের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ অংশ চীন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) কেবল পাকিস্তানের নয়, এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ এবং আশপাশের এলাকার জন্য নতুন নতুন ব্যবসায়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে। কারণ এটি বাণিজ্য রুটগুলো সংক্ষিপ্ত করার মাধ্যমে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক দৃশ্যপট নতুন করে গড়ে দেবে।
বি অ্যান্ড আর উদ্যোগ দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। এখানকার নেতারা তাদের স্বার্থগুলো সর্বোচ্চ মাত্রায় পূরণ করার লক্ষ্যে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক একীভূতকারণের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছেন।
এই অঞ্চলের কিছু কিছু দেশ উচ্চ পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বিনিময়ের অনেক ঘটনা দেখেছে বলে মন্তব্য করেছে চীনা সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস।
শুক্রবার পত্রিকাটিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই উদ্যোগে সামিল হওয়ার কারণে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি উন্নত হয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণকারী নেপালি প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি প্রথম উচ্চপর্যায়ের বিদেশী অতিথি হিসেবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী সাধারণত শপথ গ্রহণের পর প্রথম সফরে ভারত যান। ফলে নতুন প্রধানমন্ত্রীর পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার ইঙ্গিত বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সিপিইসি নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও অর্থনৈতিক করিডোরটি ২০১৬ সালে পাকিস্তানি বন্দর গোয়াদর দিয়ে চীনা পণ্যের প্রথম চালানটি পরিবহন করতে সক্ষম হয়েছে।
সিপিইসির মাধ্যমে চীন ও পাশ্চাত্যের মধ্যে বাণিজ্যিক সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবে পাকিস্তান।
একদিকে নেপাল সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের দিকে, অন্যদিকে আফগানিস্তানও সিপিইসি প্রকল্পগুলোকে সম্পৃক্ত হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্রিয় বিনিময়ের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি উন্নত হবে। অর্থনৈতিক একীভূতকরণ অনেক বাড়িয়ে দেবে বি অ্যান্ড আর উদ্যোগ। যে সব দেশ এই উদ্যোগ দূরে থাকবে তারা দক্ষিণ এশিয়ার প্রবলবেগে এগিয়ে যাওয়াটা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে। ভারতের বিষয়টি বোঝা উচিত। গ্লোবাল টাইমস