মহারশী নদী নাব্য হারিয়ে এখন মরা খাল
মো. আব্বাস উদ্দিন, ঝিনাইগাতী( শেরপুর) : শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা মহারশী নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে এক ঐতিহ্যবাহী বড় বাজার। এ বাজার থেকে প্রতি বছর সরকার প্রায় ২ কোটি টাকা রাজস্ব পায়। উক্ত নদীটি বর্তমানে নাব্যতা হারিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ দখলদারে দখলে চলে যাচ্ছে নদীর সিংহ ভাগ হাজার হাজার একর জমি। ফলে দিন দিন নদীটি মৃত খালে রূপান্তরিত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ঐহিত্যবাহী মহারশী নদীটি অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নদীটির এ অবস্থা দেখেও কোােন পদক্ষেপ না নেওয়ায় দখলদাররা প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে নদীটি দখল করে যাচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মহারশী নদীর দুপাড়ে জেগে ওঠা চর দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে দরিদ্র থেকে শুরু করে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। প্রথমে দরিদ্র কিছু লোক নদীর জেগে উঠে বালুর চরে বসতবাড়ি করে। পরে এই দরিদ্র লোকেরা প্রভাবশালীদের কাছে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিক্রি করে অন্যত্রে চলে যায়। আর এই সমস্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীর পাড়ের জায়গা দখল করে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করছে। এভাবেই মহারশী নদীর দু’পাড় দখলদারদের দখলে চলে যাচ্ছে। বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে ঝিনাইগাতীর ঐহিত্যবাহী মহারশী নদিটি। উল্লেখ্য, ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে আসা ঐতিহ্যবাহী মহারশী নদীটি ঝিনাইগাতী উপজেলা নালিতাবাড়ী শেরপুর হয়ে ব্রহ্মহ্মপুত্র নদে সংযুক্ত হয়েছে। এক সময় এই নদিটি দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে বণিকরা নানা জাতের পন্য আমদানি-রফতানি করত এই ঝিনাইগাতী বাজারে। তাই মহারশী নদিটি দখলদারদের দখল থেকে মুক্ত করে পুন.খননের মাধ্যমে নদীটির নাব্য ও আগের ঐহিত্য ফিরিয়ে আনা এঅঞ্চলের মানুষের দাবি।
এদিকে অপরিকিল্পিত ভাবে শ্যালো ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর দু’পাড় ভেঙে এ নদী নাব্য হারিয়ে ফেলেছে। পানিশূন্য হওয়ায় নদীর তীর বেদখল করে ঘর-বাড়ি তোলা হচ্ছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান