উড়োজাহাজে থাকা যাত্রীর স্বজনদের কান্না
সুজন কৈরী : নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকাল সোমবার দুপুরে বাংলাদেশের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ছাড়াও ৪ জন ক্রু ছিলেন। বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই রাজধানীর বারিধারায় অবস্থিত ইউএস বাংলা এয়ার লাইন্সের কার্যালয়ে ওই বিমানে থাকা যাত্রীদের স্বজনরা ভিড় জমান। তাদের কান্নায় অফিসের পরিবেশ যেন ভারি হয়ে উঠে।
বিধ্বস্ত ওই উড়োজাহাজে ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ উম্মে সালমা। তিনদিনের অফিসিয়াল সফরে গতকাল বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ কাঠমান্ডু গিয়েছেলেন। সেখানে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইউএস বাংলা কার্যালয়ে ছুটে আসেন তার বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ। বোনের জন্য তাকে আহাজারি করতে দেখা যায়। শোক যেন তাকে নির্বাক করে তুলে।
শুধু আজাদনই নন। বিমান দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তার মতো আরো অনেকের স্বজনই গতকাল ইএস বাংলা কার্যালয়ে যান।
বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রী কবির হোসেনের ছেলে শাওন কান্ন জাড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান, তারা উত্তর খানে থাকেন। বাবা দুই ব্যবসায়িক অংশীদারকে নিয়ে বিধ্বস্ত বিমানে নেপালে যান। সেখান থেকে একজনের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে জানতে পেরেছেন, তার বাবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শামসুজ্জমান নামের অপর একজন বলেন, তার ভাই রফিকুজ্জামান স্ত্রী ও বাচ্চাকে নিয়ে নেপাল গিয়েছেন। দুর্ঘটনার পর থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা। সম্পাদনা : আনিস রহমান