যাদের স্বার্থ যখন যেদিকে যাবে তখন তারা সে দিকেই ঝুঁকবে
ড. আবদুল্লাহ হেল কাফি
১৯৬৫ সালে যখন ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছিল, তখন রাশিয়া সরকার বলেছিলেন, ভারত পাকিস্তানের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। এখানে যুদ্ধ হলে রাশিয়া নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করতে পারে না। এ কারণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী এবং পাকিস্তানের আইয়ুব খানকে রাশিয়াতে তাসখন্দে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এবং ১৯৬৬ সালের ১০ই জানুয়ারী তাসখন্দ চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির পর পরই কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী রাশিয়াতেই মারা যায়। কাজেই যেহেতু ’৬৫ সালের যুদ্ধেই রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছিল সুতরাং স্বাভাবিক ভাবেই এ অঞ্চলের প্রতি রাশিয়ার একটা আগ্রহ ছিল, আছে এবং থাকবেই। এখন যদি ভারত রাশিয়াকে বাদ দিয়ে অন্য দিকে যুক্ত হয়, তাহলে রাশিয়া পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকবে, এটাই তো স্বাভাবিক। আবার ভবিষ্যতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন হবে। এরকম বরাবরই হয়। যেমন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র এক সাথে যুদ্ধ করেছে। পরবর্তিতে তারা সমাজতন্ত্র নিয়ে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে এবং রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। কাজেই রাজনীতিতে এরকম হবেই। যাদের স্বার্থ যখন যে দিকে যাবে তখন তারা সে দিকেই ঝুঁকবে।
পরিচিতি : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাবি./মতামত গ্রহণ : এইচ. এম. মেহেদী/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ