রাশিয়ার হাইপারসনিক মিসাইলে তটস্থ বিশ্ব
পার্সটুডে : সম্প্রতি একটি ভয়ঙ্কর মিসাইলের কথা ঘোষণা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এই মিসাইলের ওয়ারহেড আমেরিকার সামরিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পুতিন। মার্চের ১ তারিখ সেই অত্যাধুনিক মিসাইলের কথা জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। এবার একটি ভিডিও প্রকাশ করে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বুঝিয়ে দেওয়া হল ঘোষণাটি কোনও ভয় দেখানোর গল্প নয়। এটা সম্পূর্ণ বাস্তব। ভিডিওতে মিসাইলটি পরীক্ষা করা হয়েছে দেখা যাচ্ছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে কিনঝাল বা ড্যাগার। রাশিয়ার কিনঝাল মিসাইল সিস্টেমের অন্তর্গত এই হাইপারসনিক মিসাইল বলে খবর।
এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে রাশিয়ার ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরি বোরিসভ বলেন, ‘দেশের প্রতিরক্ষা খাতে কয়েকটি মিসাইল আর কাজে লাগবে না। তাই নয়া প্রযুক্তির মিসাইল পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখনও বহু মিসাইল পরীক্ষা করা বাকি রয়েছে। কিনঝাল হাইপারসনিক মিসাইল তার মধ্যে অন্যতম। এটা কোনও ধাপ্পাবাজি নয়, একেবারে বাস্তব।’হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্রের প্রযুক্তিগত দিকগুলি সব ঠিক আছে। পরীক্ষার পর বিষয়টি নিয়ে তারা সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে মিলিটারি জেট মিসাইল নিয়ে যাচ্ছে। মিসাইলের বেশ কিছু অংশ ঢাকা রয়েছে। শব্দের থেকে আট গুণ বেশি গতি সম্পন্ন এই মিসাইল। রাশিয়া, আমেরিকা এবং চীনের সঙ্গে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিতে রীতিমত তৈরি হয়েছে এই মিসাইল। এমনকী এটি ন্যাটো মিসাইল ইন্টারেসপ্টরকেও গুঁড়িয়ে দিতে পারে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, মিসাইল লঞ্চারে থাকবে এই মিসাইল।
শত্রুপক্ষের জাহাজ নিধন করতে পারবে এটি ৬১৩৮ মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে এটি ৬৫০ মাইল যেতে পারবে।
রাশিয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এই মার্চেই। ১৪ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন তিনি। দু’দফায় এই নিয়ে তৃতীয় বার। তাই নির্বাচনের আগে ভেলকি দেখাতেই এই কিনঝাল হাইপারসনিক মিসাইল প্রকাশ্যে আনা হল বলে মনে করা হচ্ছে। এই দফায় ২০১২ থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন পুতিন। আসন্ন নির্বাচনেও তার জেতার সম্ভাবনা প্রবল বলে ধারণা ক্রেমলিনের। এটি তার দ্বিতীয় দফা। প্রথম দফায় ২০০০ থেকে ২০০৮, এই আট বছরে পরপর দু’বার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন পুতিন। মাঝখানে দিমিত্রি মেদভেদেভকে প্রেসিডেন্ট পদে বসিয়ে নিজে ৬ মাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন। তারপর আবার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ