পাকিস্তানই রক্ষা করছে দাউদকে, পুলিশকে জানাল গ্যাংস্টার ফারুক
আজকাল : পাকিস্তানে রয়েছে দাউদ। এ দাবি বোধ হয় এক যুগ ধরে করে আসছে ভারত। বারবারই সে দাবি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। এবার দাউদ ঘনিষ্ঠের বয়ানে দাউদকে নিয়ে এক প্রকার জাঁতাকলেই পড়তে হল ইসলামাবাদকে। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে কয়েকদিন আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল দাউদের সহযোগী ফারুক টাকলাকে। আর তার পরেই পুলিসকে জেরায় ফারুক জানিয়েছে, ভারত থেকে পালানোর পর পাকিস্তানই আশ্রয় দিয়েছে ডি কোম্পানিক বসকে। শুধু তাই নয় দাউদকে যাবতীয় নিরাপত্তাও দিয়েছে পাক প্রশাসন, দাবি করেছে সে। তার আরও দাবি, দাউদের যাবতীয় সম্পত্তি রক্ষা করছে পাকিস্তানই। কারণ সে জানে, করাচির ক্লিফন কলোনিতে দাউদের বাংলো পাহারা দেয় পাক সরকারের নিরাপত্তারক্ষীরা। ১৯৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণের পর দাউদ যখন পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিল, তখন সেখানে ভিভিআইপির মতই অভ্যর্থনা জানিয়েছিল পাক সরকার। এমনই সব বিস্ফোরক তথ্য পুলিসকে দিয়েছে ফারুক।
পাকিস্তানের দাউদের থাকার জন্য একটি এলাকা সুরক্ষিত করে রেখেছে সেদেশের সরকার। আদা গ্রুপ আইল্যান্ড নামে পাকিস্তানের সেই এলাকায় দাউদ এবং তার স্ত্রী ছাড়া কারোর প্রবেশের অনুমতি নেই। এমনকী ডন দাউদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আলাদা করে ফ্রিকোয়েন্সি তৈরি করেছে পাক সরকার। আরব সাগরের সেই দীপটি পাহারা দেয় পাক উপকূল রক্ষী বাহিনী।
যদি দাউদের কখনো দুবাই যাওয়ার প্রয়োজন হয়, তখন তার ব্যবস্থা করে দেয় এই উপকূলরক্ষী বাহিনীই। এমনকী দাউদকে নিরাপদ এবং সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা করে রেখেছে পাকিস্তান। কখনও কোনও বিপদ এলে ৬ ঘণ্টার মধ্যে জলপথে দাউদকে দুবাই পৌঁছে দেওয়ার গোপন প্রস্তুতি করে রাখা রয়েছে। শুধু দুবাই নয় এভাবে আরব আমিরসাহির অন্য একাধিক স্থানে দাউদকে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা আগাম করে রেখেছে পাকিস্তান। জেরায় পুলিসকে ফারুক জানিয়েছে, পাকিস্তানের মধ্যেই দাউদের বিরোধী শক্তি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ২০০০ থেকে ২০০৫-এর মধ্যে ছোটা রাজনের দল এবং পাকিস্তানের স্থানীয় এক গ্যাং দাউদকে মারা চেষ্টা করেছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ