শোকে স্তব্ধ নিহতদের পরিবার
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মজুমদার : নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন খুলনা, বরিশাল, যশোর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, শরীয়তপুর, গাজীপুর, রাজশাহী, মানিকগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের অন্তত ১৫ জন। এর মধ্যে যশোর ও গাজীপুরের একই পরিবারের ৩ জন করে সদস্য রয়েছেন। সিলেটের রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১১ নেপালি শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ৩ দিনের শোক ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ব ঘুরে দেখার নেশা ছিল বরিশালের পিয়াস রায়ের। গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ থেকে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার পর নেপাল ভ্রমণে যান। বিমান বিধ্বস্ত ঘটনায় তিনিও মারা যান। প্লেনে ওঠার সময় কথা হয়। এর পর আর কোনো কথা হয়নি বলে কান্নাকাটি করছেন পিয়াসের মা।
যশোরের সানজিদা হক বিপাশা, তার স্বামী রফিক জামান ও একমাত্র সন্তান অনিরুদ্ধকে নিয়ে নেপালে গিয়েছিলেন ঘুরতে। তারা সবাই নিহত হয়েছেন।
টাঙ্গাইলের এমরানা কবির হাসি ও সিরাজগঞ্জের রকিবুল হাসানের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। রুয়েটের শিক্ষক এমরানা কবির হাসি ও তার স্বামী রকিবুল হাসান ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন নেপালে। বিমান দুর্ঘটনায় রকিবুল হাসান মারা যান আর এমরানা কবির হাসি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
উড়োজাহাজের যাত্রী শরীয়তপুরে ফয়সাল আহমেদ ছিলেন বৈশাখী টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার। পারিবারিক ভ্রমণের গিয়েছিলেন গাজীপুরের ফারুক আহমেদের পরিবারের ৪ সদস্য। হারিয়েছেন একমাত্র সন্তানকে। দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে তাহিরা তানভিন শশীর। গুরুতর আহত হয়ে স্বামী শাওন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শশীর বাড়ি মানিকগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট এলাকায়। সদ্য এলএলবি পাস করা শশী বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বিবাহবার্ষিকী পালন করতে স্বামী ডা. রেজায়ানুল হক শাওনের সঙ্গে নেপালে যাচ্ছিলেন তিনি।