একটি সেতুর অভাবে ৪ ইউনিয়নবাসীর দুর্ভোগ
এম রায়হান চৌধুরী, চকরিয়া(কক্সবাজার) : চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীর উপকন্ঠে তরছঘাট পয়েন্টে একটি সেতু বদলে দিতে পারে হাজারো মানুষের জীবনচিত্র। স্বাধীনতার পর থেকে জনপ্রতিনিধিরা কথা দিলেও তারপরও এতটুকু পরিবর্তন ঘটেনি উপজেলার চারটি ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষের চলাচলের অন্যতম মাধ্যমে তরছঘাট এলাকায় একটি বেইলি সেতু অথবা স্থায়ী একটি পাঁকা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি। ফলে অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বছরের শুস্ক মৌসুমের ছয়মাস কাঠের সাঁকো দিয়ে ও বর্ষা মৌসুমে অবশিষ্ট ছয়মাস নৌকায় পারাপারে চলাচল করে আসছে এ জনপদের বঞ্চিত জনসাধারণ। জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডস্থ তরছঘাট এলাকাটি ছিল উপজেলার একসময়ের জনবহুল প্রধান বাণিজ্যিক সেন্টার। ওই এলাকা থেকে নদীর ওপারে অভিভক্ত বিএমচর, কোনাখালী, সাহারবিল, পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নে সব ধরণের খাদ্য পণ্য নিয়ে যেত ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ওই এলাকার জনসাধারণ চলাচল করতো নৌকায় করে। সময়ের ব্যবধানে যাতায়তে ক্ষেত্রে সবকিছু পরিবর্তন হয়েছে।
কিন্তু উপকুলের চারটি ইউনিয়নের আমজনতার পরিবর্তন শুধু মাত্র একটি ব্রিজের কারণে পিছিয়ে রয়েছে। আজো অদৃশ্যমান রয়ে গেল তরছঘাটা-পূর্ব বড় ভেওলা সংযোগ সেতু। দীর্ঘ ৮যুগ ধরে পূর্ব বড় ভেওলার এগার গ্রামের লোকজন কখনও নৌকা, বাঁশের সাঁকো এবং কাঠের সেতু দিয়ে নদী পারাপার করতে হয়। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান