শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক শিক্ষার মান নিয়ে এখন খুশি চীন
বাংলাট্রিবিউন : বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিকভাবে গড়ে তোলার জন্য যে পাঠ্যক্রম চালু রয়েছে তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে চীন। গত বছরের আগে ওই পাঠ্যক্রমে অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের তেমন কোনও আগ্রহ ছিল না, তারা শুধু শারীরিকভাবে সেখানে উপস্থিত হতো। তাছাড়া, পাঠ্যক্রমটি মেয়াদোত্তীর্ণ ও যুগোপোযোগীও ছিল না, জানিয়েছেন চীনের শিক্ষামন্ত্রী। গত বছর থেকে পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার চীনা দাবির প্রেক্ষিতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা উল্লেখ করেছে, শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী রাজনৈতিক পাঠক্রমে অংশ নিতে বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্রবল আগ্রহকে ট্রেনযাত্রীদের টিকেট পাওয়ার আগ্রহের সঙ্গে তুলনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ট্রেনের টিকেট পেতে যেমন প্রতিযোগিতা হয়, নতুন রাজনৈতিক পাঠক্রমে অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ তেমনই প্রবল। সমাজতান্ত্রিক চীন তার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পশ্চিমা ধ্যানধারণার বিস্তার ঠেকাতে সচেষ্ট অনেক আগে থেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অযথার্থ মন্তব্যের খোঁজ রাখতে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শক পর্যন্ত পাঠানো হয়। তবে গত বছরের আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য চালু থাকা রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের পাঠক্রমে শিক্ষার্থীরা কোন আগ্রহ ছাড়াই যোগ দিতে বাধ্য হতো। পাঠ্যক্রমও আধুনিক ছিল না। শুক্রবার চীনের শিক্ষামন্ত্রী চেন বাওশেং এসব মন্তব্য করেছেন। চীনের শিক্ষামন্ত্রীর এই স্বীকারোক্তিকে ‘বিরল’ আখ্যা দিয়েছে রয়টার্স। কারণ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক পাঠদান নিশ্চিত করা চীনা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নীতি। অবশ্য গত বছর থেকে পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার কথা জানিয়ে বাওশেং বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় আড়াই হাজার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক পাঠক্রমে বিশেষজ্ঞ এমন ২০০ জনকে পাঠিয়েছিল, যারা ৩ হাজারেরও বেশি ক্লাসে উপস্থিত হয়েছেন। তারা সেখানে ওই ৩ হাজার শিক্ষার্থীদের ওপর জরিপ চালিয়েছেন। প্রাপ্ত ফলাফল থেকে জানা গেছে ৯১ শতাংশ শিক্ষার্থী এখন রাজনৈতিক পাঠ্যক্রমকে প্রকৃতই শিক্ষামূলক মনে করে। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ এতো বেশি যে ক্লাসে বসার সিট পাওয়া, উৎসবের আগে ট্রেনের টিকিট পাওয়ার মতো কঠিন হয়ে উঠেছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ